ডেস্ক রিপোর্ট

৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৬ অপরাহ্ণ

আশা নাকি আশঙ্কার নতুন বছর

আপডেট টাইম : জানুয়ারি ৫, ২০২৫ ১০:৫৬ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

রাজেকুজ্জামান রতন :
নতুন বছর ২০২৫ চলছে পুরনো বছরের উত্তেজনার মধ্য দিয়ে পা ফেলে। এখনো উত্তেজনার রেশ কাটেনি। আশঙ্কার হাতছানি সত্ত্বেও সম্ভাবনার কথা ভাবতে চায় দেশের মানুষ। পুরনো বছরের শিক্ষা শুধু পরাজিতদের জন্য নয় যারা বিজয়ী হয়েছে তাদের জন্যও জরুরি। যদিও সেই পুরনো কথাই মনের মধ্যে উঁকি দেয়। ইতিহাসের শিক্ষা হলো এই যে, কেউ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না। ক্ষমতাসীনরা সহজেই ইতিহাস ভুলে যায় এবং সব সময় ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।

২০২৪ সালটাকে বাংলাদেশের ষড়ঋতুর মতো ছয়টি পর্বে ভাগ করা যায়। জানুয়ারির অবিশ্বাস্য আমি- ডামির নির্বাচনের পর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলেছিল পর্যালোচনা, কীভাবে এই নির্বাচনের পক্ষে সাফাই গাইছে আওয়ামী লীগ। মার্চ-এপ্রিল ছিল হতাশার কাল। জনগণ ভাবতে শুরু করল যে- কোনোভাবেই প্রশাসন, পুলিশ আর দলীয় মাস্তানদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না আর সরকার ক্ষমতা ভোগ ও প্রয়োগ করতেই থাকবে, যতদিন তারা চায়। মে-জুন ছিল অবাধ দুর্নীতি নিয়ে ক্ষুব্ধতার কাল। দ্রব্যমূল্য অসহনীয়, লুটপাট লাগাম ছাড়া, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক পিয়নের হাতে ৪০০ কোটি টাকার সম্পদ দুর্নীতির ব্যাপকতা সম্পর্কে মানুষের ধারণাকে পাল্টে দিয়েছিল। জুলাই-আগস্ট ছিল স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল সৃষ্টির কাল। সাইদের মৃত্যু যেন বাঁধ ভেঙে দিল সাহসের। কারফিউ উপেক্ষা করা, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের দলীয় সন্ত্রাসীদের হাতে মরতে মরতে মানুষের মরার ভয় দূর হয়ে গিয়েছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আর ছাত্রদের নয় সারা দেশের মানুষের আন্দোলনে পরিণত হয়ে গেল। সরকার পতন ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষামাত্র। নতুন ইতিহাস রচিত হলো, বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তকমা পাওয়া প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ ও পলায়নের নতুন নজির স্থাপন করলেন। জনগণের ক্রোধের আগুনে পুড়ল সরকারি স্থাপনা, লন্ডভন্ড হয়ে গেল গণভবন, পুড়ল ৩২ নম্বর, ভাঙল মুজিবের ভাস্কর্য। পালিয়ে গেল সব মন্ত্রী, এমপি এমনকি বাইতুল মোকাররমের খতিব পর্যন্ত। এ এক অবিশ্বাস্য পতন ও পলায়ন। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নতুনভাবে দেশ গড়ার স্বপ্নের পাশাপাশি একদিকে অস্থিরতা, উত্তেজনা, দখল আর অন্যদিকে অতীত সরকারের দুর্নীতির নতুন নতুন দৃষ্টান্ত উন্মোচন করার কাল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে মানুষ আবার সংশয়ে পড়ে গেল। নানা বিতর্ক আমদানি হতে থাকল, ভারতের নানা পদক্ষেপ আর দেশের মধ্যেও সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা সৃষ্টির প্রচেষ্টা লক্ষ করে মানুষের মধ্যে প্রশ্ন জাগতে শুরু করল, আসলে হচ্ছেটা কী?

ঘোষণা করা হলো, জুলাই অভ্যুত্থানের প্রোক্লামেশন হবে ৩১ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে। শুরু হলো উত্তেজনা, কী লেখা হবে, কে লিখবে এবং কখন লিখবে এই প্রোক্লামেশন? অভ্যুত্থানের আগের দাবি কী ছিল আর পরে কী কী দাবি উত্থাপিত হচ্ছে তার মধ্যে সমন্বয় করবে কারা? ফ্যাসিস্ট শাসন উৎখাতের সংগ্রামে যত ঐক্য ছিল পরবর্তীকালে দেশ পরিচালিত হবে কোন পথে তা নিয়ে বিরোধও ততটাই যেন বেশি। সংবিধান নতুন হবে না সংশোধন হবে সেই বিতর্ক তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে, নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কার নাকি সংস্কার করে নির্বাচন, ৫২ বছর রাজনৈতিক দলগুলো কী করেছে এই বিতর্ক তোলার চেষ্টা রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা তৈরি করেছে। আবার সংবিধান ছুড়ে ফেলা কিংবা মুজিববাদী সংবিধান কবরস্থ করার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। সারা দেশ থেকে ছাত্র জমায়েত করে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের কৌশল হয়েছে, অবশেষে সরকারের পক্ষ থেকে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে অভ্যুত্থানের ঘোষণা প্রকাশ করা হবে বলে জানানোর পর শহীদ মিনারের কর্মসূচি পরিবর্তন করা হয়েছে কিন্তু রাজনৈতিক মহলে আলোচনা থামেনি।

রাজনৈতিক আলোচনা, বিতর্ক, উত্তেজনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জীবনের সংকটগুলো তীব্র হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের লাগাম ধরতে পারছে না, ডলারের দাম বেড়ে যাচ্ছে, শীতকালীন সবজি বাজারে উঠতে না উঠতে কৃষক সেই পুরনো চক্রে আটকে গেল। খবর আসছে, রংপুরে, গাইবান্ধায় ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২ টাকা কেজি, কৃষকের মাথায় হাত। সার নিয়ে সংকটের আশঙ্কা, দাম বৃদ্ধি, বীজ ও কীটনাশকের দাম এবং মান নিয়ে সেই পুরনো খেলা কৃষকের জীবনকে জেরবার করে দিচ্ছে। শ্রমিকের মজুরি আর চাকরি নিয়ে ক্ষোভ প্রশমিত হচ্ছে না। মানুষ ভাবছে একদিকে সংবিধান কবরস্থ করার ঘোষণা, অন্যদিকে জনগণের সম্পদ পকেটস্থ করার কাজ চলছে। এর সঙ্গে গণমানুষের আকাঙক্ষার সংগতি কোথায়? শ্রমিকের বাড়বে না আয়, কৃষক পাবে না ফসলের ন্যায্য দাম, সেই পুরনো বৃত্ত কি ভাঙবে না এবারও! এর মধ্যেই খবর এসেছে দেশের রপ্তানি বেড়েছে বেশ ভালো পরিমাণেই। যদিও বেতন না পাওয়া, চাকরি হারানো শ্রমিকদের আন্দোলনে আশুলিয়া, গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের শ্রম অসন্তোষ এখনো পুরোপুরি কাটেনি। গার্মেন্টস ধ্বংস হয়ে যাবে এ রকম প্রচারণার মধ্যেই দেখা গেল, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। একক মাসের হিসেবে ডিসেম্বরে রপ্তানির হারটা আরও বেশি। এই মাসে রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম দিকে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির হার কম থাকলেও গত তিন মাসে রপ্তানি আয়ে প্রতি মাসেই বেশ ভালোই প্রবৃদ্ধি এসেছে। এ কারণে ছয় মাসের গড় রপ্তানির প্রবৃদ্ধিও ভালো। এই অর্থবছরের প্রথম মাস আর আন্দোলনের মাস জুলাইয়ে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল ২ দশমিক ৯ শতাংশ। আগস্টে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। সেপ্টেম্বরের পর থেকে বৃদ্ধির হার উচ্চ হতে থাকে। সেপ্টেম্বরে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ, অক্টোবরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অনেক বেড়ে হয় ২১ শতাংশ। নভেম্বরে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ। ডিসেম্বরে রপ্তানি বাড়ে ১৮ শতাংশ। ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, একক মাস ডিসেম্বরে পণ্য রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৪৬৩ কোটি ডলারের। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৫৫ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে মোট রপ্তানির পরিমাণ দ্ইু হাজার ৪৫৩ কোটি ৩৫ লাখ ডলার বা প্রায় তিন লাখ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ পরিমাণ ছিল দুই হাজার ১৭৪ কোটি ডলার। তৈরি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ। রপ্তানি হয়েছে এক হাজার ৯৭৯ কোটি ডলারের পোশাক, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল এক হাজার ৭৫৬ কোটি ডলার। অর্থাৎ টানা পাঁচ মাসের শ্রম অসন্তোষের মধ্যেও পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে ২২৩ কোটি ডলার বা ২৭ হাজার কোটি টাকার মতো।

তৈরি পোশাকের রপ্তানি এত বেশি হারে বাড়ার অনেকগুলো কারণ লক্ষ করা গেছে। বকেয়া মজুরি নিয়ে শ্রমিক আন্দোলনকে দেখিয়ে হাহাকার করার চেষ্টা হলেও বাস্তব পরিস্থিতি অতটা খারাপ ছিল না। মালিকরা উৎপাদন ও রপ্তানি ঠিক রাখতে বিকল্প সব সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন। দেশ থেকে মৌলিক পণ্যের সঙ্গে মূল্য সংযোজিত পণ্যের রপ্তানি বাড়ছে দিন দিন। একইভাবে উচ্চমূল্যের পোশাক রপ্তানিও বাড়ছে। প্রধান বাজার ইউরোপ-আমেরিকায় নীতি সুদহার কিছুটা কমেছে। ওই সব দেশে চাহিদাও বেড়েছে। কমপ্লায়েন্স শর্ত পরিপালন, সার্কুলার আরএমজি, পরিবশসম্মত উৎপাদন কাঠামোয় বড় বিনিয়োগ ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশের পোশাকের প্রতি পশ্চিমা ব্র্যান্ড-ক্রেতাদের আস্থা আরও বেড়েছে। নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি, পণ্যে বৈচিত্র্য আনা ও ব্র্যান্ডিংয়ের বেশ কিছু কাজও হচ্ছে। এ সবের কারণে এখনো শক্তিশালী পোশাক খাত। এত কম মজুরির শ্রমিক কোথাও পাওয়া সম্ভব নয় এটা শ্রমিকের দুর্দশার কারণ হলেও মালিকদের জন্য সুবিধার বিষয়। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মনে হচ্ছে নতুন বছর রপ্তানি খাত আরও ভালো করবে।

শুধু তৈরি পোশাক নয়, রপ্তানি খাতের ছোট-বড় প্রায় সব খাতেই রপ্তানি বেড়েছে গত ছয় মাসে। ইপিবির প্রতিবেদনে দেখা যায়, বহুদিন পর চিংড়িসহ সব ধরনের হিমায়িত মাছের রপ্তানি বেড়েছে ১৯ শতাংশেরও বেশি। রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ২৫ কোটি ডলার। কৃষি পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ১৪ শতাংশেরও বেশি। রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ডলার। ওষুধের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৮ শতাংশ। রপ্তানি হয়েছে ১১ কোটি ডলারের ওষুধ। চামড়া ও চামড়া পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ২৪ শতাংশ। রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৫৮ কোটি ডলারের বিভিন্ন পণ্য। প্রায় ছয় বছর পর পাট ও পাটপণ্যের রপ্তানিও বাড়ল গত ছয় মাসে। রপ্তানি বেড়েছে ১ শতাংশের কিছু বেশি। রপ্তানি হয়েছে ৪২ কোটি ডলারের বিভিন্ন ধরনের পাটপণ্য। ফলে দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তন রপ্তানি আয়ে নেতিবাচক প্রবণতা ফেলবে বলে যে আশঙ্কার কথা পরিকল্পিতভাবে ছড়ানো হয়েছিল, তার অসারতা প্রমাণিত হচ্ছে। রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানি আয় বৃদ্ধির পর এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে মজুরি নিয়ে শ্রমিকদের দাবি-দাওয়ার প্রতি নজর দেবেন কখন? দেশের রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস রেমিট্যান্স এসেছে সর্বোচ্চ পরিমাণে। ডিসেম্বর মাসে ২.৬৪ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রবাসীরা। অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে ২০২৪ সালে রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণে। ২৬.৮৯ বিলিয়ন ডলার যা গত বছরের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেশি। বছরের হিসেবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২২ সালে, প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার। দেশের প্রতি প্রবাসীদের দায়িত্বের আবারও প্রমাণ পাওয়া গেল। রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স বাড়ায় বাংলাদেশের রিজার্ভ বেড়ে এখন ২১.৩৬ বিলিয়ন ডলার যা ১৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল।

এসব তো অর্থনীতির ইতিবাচক খবর। এর মধ্যেই আবার জানা গেল ভ্যাটের আওতা বাড়ছে। আইএমএফের ঋণের শর্ত অনুযায়ী, নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে যোগ হচ্ছে পরোক্ষ করের বাড়তি বোঝা। হঠাৎ করে ভ্যাট, সম্পূরক শুল্কসহ বিভিন্ন ধরনের কর বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বাড়তি করের তালিকায় রয়েছে ওষুধ, গুঁড়োদুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, মিষ্টি, মোবাইল ফোনে কথা বলা, ইন্টারনেট ব্যবহার, হোটেল-রেস্তোরাঁ, এলপিজি গ্যাস, বিমানের টিকিটসহ ৪৩ ধরনের পণ্য ও সেবা। এমনিতেই উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে জনজীবন বিপর্যস্ত এই সময়কালে অন্তর্বর্তী সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতিকে আরও বাড়িয়ে দেবে। বর্তমানে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ১১ শতাংশের বেশি। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি প্রায় ১৪ শতাংশ, যা পার্শ্ববর্তী যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। এরপর নতুন করে ৪৩ পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ হলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। জনগণ চায় দুর্নীতি, কর ফাঁকি বন্ধ করা হোক, কিন্তু ভ্যাটের আওতা বাড়লে ব্যয়ের বোঝা তো সাধারণ মানুষের কাঁধেই চাপবে।

বছরের শুরুতে পুরনো বছরের গ্লানি নয় পুরনো বছরে তৈরি করা সম্ভাবনার পথে দেশ চলুক এটাই সবার প্রত্যাশা। ব্যবস্থা না বদলালে পরিস্থিতির গুণগত কোনো পরিবর্তন হবে না এটা সত্যি। তাই অন্তত, একটা জবাবদিহিমূলক সরকারের জন্য সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা এবং পরিবেশ তৈরি হোক এটা রাজনৈতিকভাবে ন্যূনতম চাওয়া। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান দখল, পরিবেশের দূষণ, অর্থনীতিতে লুণ্ঠন যেন না হয়, এই চাওয়াটাও নিশ্চয়ই খুব বেশি নয়। আর সতর্ক থাকার আহ্বান হলো, বড় বড় সংস্কারের কথার আড়ালে সাধারণ মানুষের সংসার চালানোর কষ্টের কথা ক্ষমতায় যারা আছেন তারা যেন ভুলে না যান।

লেখক: রাজনৈতিক সংগঠক ও কলাম লেখক

শেয়ার করুন