ডেস্ক রিপোর্ট

৩১ মে ২০২৪, ১০:৪২ অপরাহ্ণ

দুর্নীতিবাজদের নামের তালিকাসহ শ্বেতপত্র প্রকাশ ও অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি

আপডেট টাইম : মে ৩১, ২০২৪ ১০:৪২ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

অধিকার ডেস্ক: দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী, ঋণখেলাপী ও কালো টাকার মালিকদের নামের তালিকাসহ শ্বেতপত্র প্রকাশ, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং বিচারের দাবি।

দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী, ঋণখেলাপী ও কালো টাকার মালিকদের নামের তালিকাসহ শ্বেতপত্র প্রকাশ, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং দোষীদের বিচারের দাবিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আজ ৩১ মে ২০২৪ বিকেল ৫টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সেগুনবাগিচাস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ও জোন ৬ এর সমন্বয়ক নিখিল দাস, কেন্দ্রীয় বর্ধিত ফোরামের সদস্য খালেকুজ্জামান লিপন।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের দুঃশাসনে দেশের জনগণ জিম্মি। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতি, লুটপাট আজ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীরের অবৈধ সম্পদের যে বিবরণ পত্রিকায় এসেছে তা হিমশৈলের চ‚ড়ামাত্র। এমন বহু বেনজীরের অস্তিত্ব দেশে রয়েছে। বেনজীরের অবৈধ সম্পদ তো রাতারাতি হয়নি। রাষ্ট্র-সরকারের চোখের সামনেই এটি গড়ে উঠেছে। বেনজীর, ২০১১ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে পুলিশের সর্বোচ্চ পুরষ্কার ‘বিপিএিম’ ৫ বার পেয়েছে। এমনকি ২০২১ সালে শুদ্ধাচার পুরষ্কারও পেয়েছে। আজিজ-বেনজীর-আনারের ঘটনার মধ্য দিয়ে দুর্বৃত্তায়িত অর্থনীতি ও রাজনীতির ভয়াবহ চেহারা ফুটে উঠেছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতি বছর দেশ থেকে ৭৬ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক লুটপাটকারীদের বিচারের আওতায় না এনে দেউলিয়া ব্যাংকগুলোকে অন্য ব্যাংকের সাথে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে লুটপাটকারীরা আরো উৎসাহিত হবে। ১ লক্ষ ৩৬ হাজার কোটি টাকা খেলাপী ঋণের কথা সরকার বললেও বাস্তবে তা প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকা হবে। পাচারকৃত টাকা ও খেলাপী ঋণ উদ্ধারের কোন পদক্ষেপ নেই। প্রতি বছর বাজেটে ১০ শতাংশ পরিশোধের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করে বৈধতা দেয়া হচ্ছে। দেশে চরম অর্থনৈতিক সংকট চলছে। রিজার্ভ ১৩ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। একদিকে সরকার কৃচ্ছতা সাধনের কথা বলছে আরেকদিকে ডিসি ও ইউএনওদের জন্য ৩৮২ কোটি টাকায় কেনা হচ্ছে ২৬১টি গাড়ী।

নেতৃবৃন্দ লুটপাকারী, দুর্নীতিবাজ, কালো টাকার মালিকদের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ, আয়ের সাথে সঙ্গতিহীন সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং তাদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

নেতৃবৃন্দ ১ জুলাই থেকে ওয়াসার পানির দাম বোর্ড সভায় অনুমোদন না করে অবৈধভাবে ১০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানান। তারা বলেন, এভাবে পানির দাম বাড়ানো অবৈধ। প্রতি বছর সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ পানির দাম বাড়ানোর বিধান ওয়াসা আইনে রয়েছে। কিন্তু মূল্যস্ফীতির ফলে জনজীবন এমনিতেই পর্যুদস্ত ফলে নতুন করে পানির দাম বাড়িয়ে দুর্দশা বৃদ্ধি না করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থপাচার ও ঋণখেলাপীদের পৃষ্ঠপোষক বর্তমান সরকার। ফলে শেখ হাসিনার অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

শেয়ার করুন