ডেস্ক রিপোর্ট
৯ জুন ২০২৫, ১১:৩০ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: রাখাইনে করিডোর/ প্যাসেজ প্রদান ও চট্টগ্রামের নিউ মুরিং টার্মিনাল বিদেশী কোম্পানিকে লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা বাতিলের দাবিতে আগামী ২৭-২৮ জুন ২০২৫, বাম, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, দেশপ্রেমিক জনগণের উদ্যোগে ঢাকা—চট্টগ্রাম রোডমার্চ সফল করতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আগামীকাল ১০ জুন চট্টগ্রাম ও ১১ জুন সকাল ফেনী, বিকেলে কুমিল্লা সফর করবেন। এ সময় নেতৃবৃন্দ ওই অঞ্চলের বাম গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও ব্যক্তি বর্গের সাথে সভা ও মতবিনিময়ে মিলিত হবেন।
আজ ৯ জুন ২০২৫ বিকেল ৪টায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের এক অনলাইন সভা জোটের সমন্বয়ক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এর সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী)র সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ।
সভায় বলা হয়, সাম্রাজ্যবাদী, আধিপত্যবাদী শক্তি অনির্বাচিত সরকারের ওপর ভর করে তাদের স্বার্থ রক্ষায় প্রচেষ্টা চালাবে। সভায় দেশের স্বার্থ বিরোধী সব ধরনের ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান হয়। সভায় বলা হয় ২৭ এবং ২৮ জুনের রোডমার্চ হবে সর্বস্তরের দেশপ্রেমিক জনগণের রোডমার্চ। ওই সময় দেশের সকল জেলায় উপজেলায়ও উল্লেখিত দাবিতে সংহতি সমাবেশ পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় কালক্ষেপণ না করে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে ২০২৫-এ ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করার দাবি পুনর্ব্যক্ত করে বলা হয়, সরকারের আন্তরিকতা থাকলে এ সময়ের মধ্যে অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার অবশ্যই করা যাবে। এবং এই সময়ের মধ্যে ২০২৪ এর জুলাই-আগস্টের হত্যাযজ্ঞের বিচারের কাজও দৃশ্যমান করা সম্ভব হবে।
সভায় ভারত থেকে পুশ ইন এর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এবিষয়ে কঠোর অবস্থান না নেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের সমালোচনা করে অবিলম্বে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করার আহ্বান জানান হয়।
সভায় বলা হয়, আইনগতভাবে মেয়র নির্বাচিত করার বিষয়ে নানা মত থাকলেও নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন ভূমিকা নিশ্চিত করতে তাদের সিদ্ধান্তের পর ঢাকা দক্ষিণ এর মেয়রের শপথ অনুষ্ঠান কেন সম্পন্ন হচ্ছে না, তা দেশবাসী জানতে চায়।
সভায় ঈদের পূর্বে অনেক শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ও বকেয়া পরিশোধ না করা এবং এ বিষয়ে সরকারের দায়িত্বশীল আচরণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা, এসময় ১১৭টি কারখানা বন্ধ ও লক্ষাধিক শ্রমিক বেকার হলেও সরকার প্রকৃতপক্ষে কোন ভূমিকা নিচ্ছে না। ২০২৪ এর গণ অভ্যুত্থানের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা বৈষম্যহীনতার কথা থাকলেও দিন দিন বৈষম্য বেড়ে চলেছে। এই সরকারের সময়ে নতুন ৫ হাজার কোটপতি হয়েছে, একই সময়ে ৩০ লক্ষ্য মানুষ অতি দরিদ্র হয়েছে, ২১ লক্ষ মানুষ চাকরি হারিয়েছে তার মধ্যে ১৮ লক্ষ নারী। এটি নিরসনে সরকারের কোন দৃশ্যমান ভূমিকা দেশবাসী দেখছে না।
সভায় ভোটাধিকারসহ নিজেদের অধিকার রক্ষায় সচেতন দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কন্ঠ সোচ্চার করার আহ্বান জানান হয়।