ডেস্ক রিপোর্ট
৩০ মে ২০২৫, ১১:৩৭ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: পটুয়াখালীতে নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস ও ভারি বৃষ্টিপাতে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার বাসিন্দারা। জেলার আটটি উপজেলার ৬২টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌরসভায় পানি ঢুকে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ১ লাখ ১৯ হাজার মানুষ। জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে শুক্রবার (৩০ মে) দুপুরে প্রেরিত প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির একটি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন স্বাক্ষরিত এসওএস ফরমে উল্লেখ করা হয়, চলতি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ না নিলেও ক্ষতির দিক থেকে এর প্রভাব ছিল অনেক বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্যোগে আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ১ হাজার ১৭২টি বসতঘর, আর সম্পূর্ণ ধসে গেছে ৯টি ঘর। প্রাণহানির কোনো খবর না থাকলেও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রাথমিকভাবে ৫০ লাখ টাকার জরুরি ত্রাণ সহায়তা চাওয়া হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কাছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, নিম্নচাপটি সাগরকন্যা কুয়াকাটা ও খেপুপাড়ার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে বর্তমানে সাতক্ষীরা অঞ্চলে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরে এখনো তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বলবৎ রয়েছে।
এদিকে জেলার কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী, গলাচিপা ও বাউফলের বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়ে ডুবে গেছে বহু ঘরবাড়ি, মাছের ঘের ও কৃষিজমি। অনেক পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে না পেরে আশ্রয় নিয়েছে উঁচু বাঁধ ও স্থানীয় স্কুল-কলেজে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর বাসিন্দারা জানান, বেশ কিছু বাঁধ দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল, যার ফলে দুর্যোগের ধাক্কা সহ্য করতে পারেনি। তাদের দাবি স্থলভাগে উঠে নিম্নচাপটি দীর্ঘ সময় সক্রিয় থাকার পাশাপাশি অমাবস্যার প্রভাবে সৃষ্টি হওয়া উচ্চ জলোচ্ছ্বাসের কারণে সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’, ‘মোখা’ বা ‘বুলবুল’ এর চেয়েও এবারকার ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, পানিবন্দি মানুষদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার ও আর্থিক সহায়তা দ্রুত পৌঁছে দিতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।