অধিকার ডেস্ক: চট্টগ্রাম নগরীতে ব্যাটারি রিকশা ও ইজিবাইক বন্ধে পুলিশের অভিযানে হয়রানি বন্ধ করে এবং আন্দোলনে দমনপীড়ন না করে যৌক্তিক সমাধানের আহবান জানিয়েছে রিকশা, ব্যাটারি রিকশা ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।

আজ চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাও বাহির সিগনাল এলাকায় শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হামলা,সংঘর্ষের প্রতিবাদ জানিয়ে সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার আহবায়ক আল কাদেরী জয় ও সদস্য সচিব মনির হোসেন এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন,” গত ২দিন ধরে সড়ক নিরাপত্তার কথা বলে গাড়ি বন্ধের অপতৎপতা চলছে।পত্রপত্রিকার রিপোর্ট মতে এ পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এমনকি গলির ভেতর থেকে ও গ্যারেজে গিয়েও পুলিশ ও প্রশাসন তল্লাশি চালাচ্ছে। এভাবে নিরাপরাধ ও অসহায় গ্যারেজ মালিক,গাড়ির মালিক ও চালক সকলের জীবন ও জীবিকার উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। শিশু মৃত্যুর দায় অটোরিকশা চালকের উপর দিয়ে চসিক মেয়র এই হামলা ও নির্যাতন উস্কে দিয়েছেন,অথচ নগরীর নালানর্দমাগুলোর নিরাপত্তা দিতে নিজের ব্যর্থতার দায় এড়িয়ে গেলেন।

চট্টগ্রামে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক বন্ধে পুলিশের এই অভিযান হয়রানি ও নিপীড়নমূলক। সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষার দায় কেবল শ্রমিকের একার নয়, প্রশাসনেরও রয়েছে। ব্যাটারি রিকশা জব্দ করে সরকার এই গরীব মানুষগুলোর পেটে লাথি মারছে,ফলে জীবিকা ও সংসার বাঁচাতে এই মরীয়া মানুষগুলো যেকোনো ধরনের বিক্ষোভ করলে দরকার তা যৌক্তিক সমাধানের। অথচ প্রশাসন গায়ের জোরে তা দমন করতে গিয়ে সংঘর্ষ পরিস্থিতি তৈরি করলো এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা করা হলো। এই সংঘাত ও সংঘর্ষের দায়িত্ব প্রশাসনকেই নিতে হবে এবং অবিলম্বে জব্দকৃত গাড়ি ছেড়ে দিয়ে এবং এইরকম জুুলমি অভিযান বন্ধ করে সড়কের শৃঙ্খলা তৈরি করতে চালক,মালিক প্রশাসন সকলের মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে।”