ডেস্ক রিপোর্ট

৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭:০৩ অপরাহ্ণ

আলু চাষীদের আন্দোলনের সাথে সংহতি সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের

আপডেট টাইম : ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫ ৭:০৩ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

অধিকার ডেস্ক: হিমাগারে আলু সংরক্ষণে কেজি প্রতি ভাড়া দ্বিগুণ করার তীব্র প্রতিবাদ এবং আলু চাষীদের আন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট।

সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বজলুর রশীদ ফিরোজ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস আজ ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সংবাদপত্রে দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে হিমাগারে আলু সংরক্ষণে কেজি প্রতি ভাড়া ৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮ টাকা করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আলু চাষীদের আন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, রংপুর, রাজশাহী বিভাগসহ বিভিন্ন অঞ্চলে গত কয়েক বছর ধরে ব্যাপকভাবে আলুর চাষ হচ্ছে। বেশি দামে বীজ, সার কিনে, জমি লিজ নিয়ে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এবারে প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে কৃষকের খরচ হয়েছে ৩২/৩৩ টাকা। অথচ বাজারে এখন পাইকারি আলু বিক্রি হচ্ছে ১০/১২ টাকায়। এতে দাম কম থাকায় চাষীদের বিঘাপ্রতি ৮/১০ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। হিমাগারেও সংরক্ষণ করতে নানা বিড়মন্বনা ও হয়রানীর শিকার হতে হ চ্ছে। হিমাগারের মালিকরা এ বছর কেজি প্রতি ভাড়া দ্বিগুণ অর্থাৎ ৮ টাকা করেছে। একদিকে বস্তা প্রতি ভাড়া দ্বিগুণ, তার সাথে অগ্রিম বুকিং বাবদ ১০০ টাকা নেওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। ৫০ কেজির আলুর বস্তায় কৃষককে গুনতে হবে ৪০০ টাকা। ইতিমধ্যে রাজশাহীর মোহনপুরে রাস্তায় আলু ফেলে দিয়ে কৃষকরা বিক্ষোভ করেছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় মহাসড়ক অবরোধ করারও হুশিয়ারী দেন কৃষকরা। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি, যেটি আমাদের উদ্বিগ্ন করেছে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, একদিকে সার, বীজ, কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধির ফলে উৎপাদনের খরচ বাড়ছে; অন্যদিকে উৎপাদিত ফসলের দাম না পাওয়ায় কৃষকরা ক্ষেতেই ফসল নষ্ট করে দিচ্ছে। সরকার যদি বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে কৃষকদের থেকে ন্যায্য দামে কেনার ব্যবস্থা না করে তাহলে কৃষকরা দাম না পাওয়ায় উৎপাদনে আগ্রহ হারাবে। দেশে খাদ্য নিরাপত্তায় সংকট দেখা দেবে।

নেতৃবৃন্দ আলু চাষীদের সমস্যা সমাধানে দ্রæত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি নিন্মোক্ত দাবি জানান:-
১) প্রতি উপজেলায় ক্রয় কেন্দ্র খুলে উৎপাদক কৃষকের কাছ থেকে লাভজনক দামে সরকারি উদ্যোগে আলু ক্রয় করতে হবে।
২) হিমাগারে বস্তাপ্রতি অগ্রিম বুকিং বাবদ ১০০ টাকা নেওয়া এবং ভাড়া কেজি প্রতি ৪ টাকা থেকে ৮ টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। হিমাগারের ভাড়া কমিয়ে কেজি প্রতি ২ টাকা করতে হবে। উৎপাদক কৃষকের জন্য হিমাগারে ৭০ শতাংশ বরাদ্দ রাখতে হবে। হিমাগার মালিক, ব্যবসায়ী-মজুতদার সিন্ডিকেট গোষ্ঠীর দৌরাত্ম রোধ করতে হবে।
৩) টিসিবি’র ট্রাকে এবং খোলা বাজারে চাল ও অন্যান্য পণ্যের সাথে আলু দিতে হবে।
৪) সরকারি উদ্যোগে পর্যাপ্ত হিমাগার নির্মাণ করতে হবে।
৫) আলু, সবজি, ধান, ভুট্টাসহ ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিত করতে উৎপাদক সমবায় ও ক্রেতা সমবায় গড়ে তুলতে হবে।

 

শেয়ার করুন