ডেস্ক রিপোর্ট

২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯:৩৫ অপরাহ্ণ

লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত বেড়ে ৩৭

আপডেট টাইম : সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪ ৯:৩৫ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

অধিকার ডেস্ক: লেবাননের রাজধানী বৈরুতের এক শহরতলীতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৩৭ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে তিন শিশু ও সাত নারী রয়েছেন বলে শনিবার লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ বলছে, শুক্রবার রাতে চালানো ইসরায়েলের প্রাণঘাতী ওই হামলায় তাদের অন্তত ১৬ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ নেতা ইব্রাহিম আকিল ও আরেক শীর্ষ কমান্ডার আহমেদ ওয়াহবিও রয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ নেতা আকিল ও হিজবুল্লাহর অভিজাত রাদওয়ান বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কমান্ডারদের এক গোপন বৈঠকে হামলা চালানো হয়েছে। ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর সামরিক চেইন অব কমান্ডকে প্রায় সম্পূর্ণভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

গত ১১ মাস ধরে চলা গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধে হামাসের সমর্থনে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করছে হিজবুল্লাহ।

ইরান সমর্থিত এই গোষ্ঠীর হামলার জবাবে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে প্রায় প্রত্যেক দিনই হামলা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। শনিবারও আন্তঃসীমান্ত হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে লেবাননের নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে।

শুক্রবারের হামলায় ইসরায়েল এবং ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটির মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি করেছে। এর আগে গত সপ্তাহে হিজবুল্লাহর সদস্যদের ব্যবহৃত যোগাযোগ যন্ত্র পেজার ও ওয়াকি-টকিতে বিস্ফোরণ ঘটায় ইসরায়েলি বাহিনী।

টানা দুদিনের হামলায় লেবাননে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর ওই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। ১৮ বছর আগে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল ইসরায়েল।

কয়েক বছর দু’পক্ষের সংঘাতের পর পরিস্থিতি থিতিয়ে আসছিল অনেকটাই; কিন্তু ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের অতর্কিত হামলা ফের ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহকে মুখোমুখি অবস্থানে নিয়ে এসেছে।

হামাস যোদ্ধাদের হাতে আটক জিম্মিদের উদ্ধারে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজা উপত্যকায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। অন্যদিকে হামাসের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত থেকে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে রকেট-ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে ইসরায়েলও।

সূত্র: রয়টার্স।

শেয়ার করুন