ডেস্ক রিপোর্ট
২৭ আগস্ট ২০২৪, ১১:৫৪ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম এর সভাপতি অধ্যাপক আবিদুর রেজা এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহŸায়ক অধ্যাপক আবুল কাশেম ও সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মোশায়েদ হোসেন ঢালী আজ ২৭ আগস্ট ২০২৪ সংবাদপত্রে দেওয়া এক বিবৃতিতে সারা দেশে সহিংসভাবে ব্যক্তি পর্যায়ে কোন শিক্ষক বা অন্য কাউকে হেনস্তা না করার জন্য ছাত্র সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থান ও বীরোচিত আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। এই বিজয় অর্জন বাংলাদেশে বিদ্যমান বৈষম্য বিলোপের ম্যান্ডেট, যা এ দেশের সকল মানুষকে আশাবাদী করে তুলেছে। অর্জিত বিজয়কে তার চ‚ুড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে এবং ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আমরা সকলেই জানি, বিগত প্রায় ১৬ বছরে দলীয়করণ এমন চরম পর্যায়ে গিয়েছিল যে, কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দলীয়করণের আওতামুক্ত ছিল না। ফলে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও পরিচালনা কমিটি গণতন্ত্রহীনতা ও দলীয় অপকর্মের আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্য প্রধান বিবেচ্য হয়েছে। এজন্য কিছু ব্যতিক্রম বাদে এসব ব্যক্তির প্রায় সকলেই ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতিসহ স্বেচ্ছাচারী ও স্বৈরাচারী আচরণ করেছে। এমতাবস্থায় গণ-অভ্যুত্থানের পরপরই এসকল ব্যক্তিবর্গের উপর জনরোষ তৈরি হয়েছে, যা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের তাদের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের সংকট নির্দেশ করে। যদি কোন স্কুল, কলেজ এবং বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক বা প্রশাসনিক প্রধান এর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধী, সমাজ বিরোধী, ঘুষ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি বা অন্য কোন অনৈতিক কুকর্মে লিপ্ত থাকার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া থাকে, তাহলে আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনার সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া ছাত্র-জনতার বিজয় অর্জন নস্যাৎ হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে।
এমতাবস্থায় প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের নেতৃবৃন্দ সকল মহলকে ধৈর্য্য ধারণ করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার উদ্যোগ গ্রহণের সনির্বন্ধ আহ্বান জানান।