ডেস্ক রিপোর্ট

৯ জুলাই ২০২৪, ১১:০৩ অপরাহ্ণ

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র ফ্রন্ট বাকৃবি শাখার সংহতি

আপডেট টাইম : জুলাই ৯, ২০২৪ ১১:০৩ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

অধিকার ডেস্ক: চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাকৃবি শাখা।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাকৃবি শাখার সভাপতি নিশাত আনজুম মিথিলা এবং সাধারণ সম্পাদক সজীব দাস এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, কোটা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল দেশের অনগ্রসর জনগোষ্ঠী কে এগিয়ে নেওয়ার জন্য। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হিসেবে আদিবাসী ও প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে এই সুবিধার যৌক্তিকতা রয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে এসেও মুক্তিযোদ্ধাদের তৃতীয় প্রজন্ম পর্যন্ত ৩০ শতাংশ কোটা বহাল রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য গৌরবের।মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অক্ষুণ্ণ রাখা সকলের কর্তব্য। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকারি চাকুরিতে বৈষম্যমূলক এই ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান কোনো ভাবেই বৃদ্ধি করে না। বরং যে সাম্যের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে মুক্তিযোদ্ধোরা রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম করেছিল, তা সেই আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সারা দেশের বেকার সমস্যা প্রকট থেকে প্রকটতর হচ্ছে। এই অবস্থায় পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সরকারি চাকুরিতে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা সময়ের দাবি। ২০১৮ সালে ছাত্রসমাজের আন্দোলনের চাপে সরকার সকল কোটা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যা অযৌক্তিক ছিল বলে আমরা মনে করি।কারণ এর মাধ্যমে প্রতিবন্ধী , আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে তাদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। আজ এই সময়ে এসে আবারও সরকারি চাকুরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহাল রাখার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত বর্বর এবং বৈষম্যমূলক।

নেতৃবৃন্দ এই অযৌক্তিক মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে অনগ্রসর জাতিসত্তা ও বঞ্চিত শ্রেণির জন্য যৌক্তিক মাত্রায় কোটা সংস্কারের দাবি জানান।

শেয়ার করুন