ডেস্ক রিপোর্ট

৮ জুন ২০২৪, ৫:২৫ অপরাহ্ণ

পোশাক শ্রমিকের পূর্ণ ঈদ বোনাস এবং বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি

আপডেট টাইম : জুন ৮, ২০২৪ ৫:২৫ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

অধিকার ডেস্ক: অবিলম্বে সকল পোশাক শ্রমিকের পূর্ণ ঈদ বোনাস ও বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং শ্রমজীবীদের রেশন, আবাসন ও চিকিৎসার জন্য বিশেষ থোক বরাদ্দের দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (জি-স্কপ) আজ ৮ জুন ২০২৪, সকাল সাড়ে ১১ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসুচী পালন করে।

গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (জি-স্কপ) এর যুগ্ম সমন্বকারী নঈমুল আহসান জুয়েল এর সভাপতিত্বে এবং খখালেকুজ্জামান লিপন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সোয়েটার ও গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন
কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ও জী-স্কপের যুগ্ম সমন্বয়কারী কাজী রুহুল আমিন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারন সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, গার্মেন্টস শ্রমিক জোটের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, গার্মেন্টস শ্রমিক জোট বাংলাদেশের
সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক সৌমিত্র কুমার দাস, শিরিন সিকদার, শাহানাজ আক্তার, আল আমিন হাওলাদার শ্রাবণ প্রমুখ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ঈদের আর মাত্র ৯ দিন বাকি। এখনো অধিকাংশ কারখানা শ্রমিকদের ঈদ বোনাস পরিশোধ করেনি, অনেক কারখানা মালিক শ্রমিকদের আটকে রাখার কৌশল হিসাবে মে মাসের সম্পুর্ণ বেতন পরিশোধ করবেনা বলে শোনা যাচ্ছে। এই ধরণের অপকৌশল শ্রমিকদেরকে উত্তেজিত করবে যার ফলাফল ভালো হবেনা বলে সাবধান করে দিয়ে এবং অবিলম্বে সকল পোশাক শ্রমিকের মে মাসের বেতন ও পূর্ণ ঈদ বোনাস পরিশোধের আহবান জানিয়ে বলেন, নিত্যপণ্যের উর্দ্ধমূল্যে শ্রমিকদের জীবন ওষ্ঠাগত। খাদ্য পণ্যে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি। পোষাক শ্রমিকরা
তাদের মজুরি দিয়ে শুধুমাত্র পরিবারের খাবার খরচকেই পুর্ণ করতে পারছেনা। খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় অপুষ্টিতে ভুগছে। তাই ভর্তুকি মূল্যে রেশন সরবরাহের দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু শিল্পের সুষম বিকাশের জন্য শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নয়নের প্রয়োজনিয়তা যেমন মালিকরা বুঝতে চাইনা, একইভাবে সরকারও বুঝতে পারছেন না বা দায়িত্ব অস্বীকার করতে চাচ্ছেন। তাই ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জন্য সরকারের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার বাজেটে শ্রমিকের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে রেশন, বিশ্রামের নিশ্চয়তায় আবাসন কিংবা অসুস্থ শ্রমিকের চিকিৎসার নিশ্চয়তা প্রদান করতে কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। বরং রাজস্ব আদায়ে পরোক্ষ কর বা ভ্যাট কে অগ্রাধিকার দিয়ে শ্রমিকের জীবনের ব্যায়কেই বারানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিকদের বিরুদ্ধে বহুমুখি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। একদিকে মালিকদের সুপারিশে শ্রমিক নেতা নামধারি দালাল নেতৃত্ব কে মজুরি বোর্ডে শ্রমিক প্রতিনিধি হিসাবে মনোনয়ন দিয়ে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, অপরদিকে বাৎসরিক মূল্যস্ফীতির চেয়ে কমহারে ইনক্রিমেন্ট দিয়ে শ্রমিকের প্রকৃত মজুরির পরিমান কমানো হচ্ছে। নেতৃবৃন্দ, ঈদের পূর্বে শ্রমিকদের প্রাপ্য পাওনা পরিশোধে যেসব গার্মেন্টস মালিক টালবাহানা করবে তাদের গ্রেপ্তার ও সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি জানিয়ে বলেন, দাবি উত্থাপনের পাশাপাশি শ্রমিক স্বার্থের সাথে বিশ্বাসঘাতকতাকারী তথাকথিত শ্রমিক নেতাদের চিহ্নিত করে সঠিক শক্তির নেতৃত্বে ন্যায্য মজুরিসহ শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

শেয়ার করুন