ডেস্ক রিপোর্ট

৭ মার্চ ২০২৪, ১০:২৩ অপরাহ্ণ

ময়মনসিংহে বেনামি পোস্টার ঘিরে আতঙ্ক

আপডেট টাইম : মার্চ ৭, ২০২৪ ১০:২৩ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

অধিকার ডেস্ক: ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে বেনামি পোস্টার সাঁটানো নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। আবারও সাঁটানো হয়েছে বেনামি পোস্টার। নির্বাচনের দুই দিন আগে যা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে নগরজুড়ে। একইসঙ্গে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক।

স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ে চিত্রশিল্পী কামরুল হাসানের জেনারেল ইয়াহিয়ার মুখের ছবি দিয়ে আঁকা ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’ পোস্টারটি খুব বিখ্যাত। সেই পোস্টারে একটি নতুন শব্দ যুক্ত করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ময়মনসিংহ নগরীতে। সাঁটানো পোস্টারে লেখা রয়েছে ‘এই রক্তখেকো জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে।’ কাকে উদ্দেশ্য করে কারা এই পোস্টার সাঁটিয়েছে এমন প্রশ্ন সবার মুখে। তবে পুলিশ বলছে, যারা পোস্টার সাঁটিয়েছে তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

গতকাল বুধবার (৬ মার্চ) সকাল থেকেই নগরীর বাসিন্দারা আশপাশের দেয়ালে এমন রহস্যময় পোস্টার দেখতে পান। পোস্টার দেখে কয়েকজন বলেন, সিটি নির্বাচনকে ঘিরে আতঙ্ক তৈরি করতে সাঁটানো হয়েছে এই পোস্টার। তবে এ ধরনের লেখা সুম্বলিত পোস্টার দেখলে যে কেউ আঁতকে উঠবেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের আরও বেশি নজরদারি প্রয়োজন।

সাইদুল ইসলাম নামে এক দোকানি বলেন, আগামী শনিবার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগ মুহূর্তে নগরীতে ভীতিকর পোস্টার সাঁটানো উদ্দেশ্যমূলক। কারা এই পোস্টার সাঁটিয়েছে তা কেউ জানে না। নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা তৈরির জন্য কেউ এমনটি করে থাকতে পারে।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আলী ইউসুফ বলেন, পোস্টারটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে যুক্ত। প্রকৃত পোস্টারটি বিকৃত করে এটি করা হয়েছে। বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য এটি করা হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে যে কাউকে ইঙ্গিত করে এটি করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কোনো ধরনের পোস্টার যখন বিভ্রান্তি ছড়ায় তখন সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন থাকে। যারা এমন ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

জেলা নাগরিক আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শিব্বির আহমেদ লিটন বলেন, বেনামি যে কোনো জিনিস প্রচার সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বিভ্রান্তিকর। বেনানি পোস্টার যারা লাগায়, রাষ্ট্রযন্ত্রকে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করে এ ধরনের কোনো বিষয় বেনামে প্রচার করলে সমাজে অস্থিরতা তৈরি হয়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অস্থিরতা আরও প্রকট হয়।

জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, কারা কী উদ্দেশ্যে এই পোস্টারগুলো সাঁটিয়েছে তাদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের চারজন ও জাতীয় পার্টির একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে সদ্য সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু (টেবিল ঘড়ি), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম (ঘোড়া), জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু (হাতি), কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য কৃষিবিদ ড. রেজাউল হক (হরিণ) এবং জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম স্বপন মন্ডল (লাঙ্গল) লড়ছেন।

শেয়ার করুন