ডেস্ক রিপোর্ট
৭ মার্চ ২০২৪, ১২:১৫ পূর্বাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: ছুটি না নিয়ে কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকায় সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা রেন্টু পুরকায়স্থকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে গিয়ে তাকে না পেয়ে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেন।
পরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব শারমিন ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রেন্টু পুরকায়স্থকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মন্ত্রীর পরিদর্শনকালীন অফিসে উপস্থিত না থাকা দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলার শামিল। সরকারি কর্তব্যে অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার জন্য তাকে নির্দেশক্রমে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্ত হবেন।
একই অভিযোগে আরও তিনজনকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন- উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী মোছা. শামীমা বেগম, নির্মল চন্দ্র দাস ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. হোসেন আলী।
সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় উপপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) তপন কান্তি ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মন্ত্রী মহোদয় আজ জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিদর্শনে আসেন। এ সময় অফিসে অননুমোদিত অনুপস্থিত থাকা এবং সরকারি কর্তব্যে অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার জন্য রেন্টু পুরকায়স্থকে মন্ত্রীর নির্দেশে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
একই অভিযোগে আরও তিনজনকে বদলির বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের বিষয়ে এখনো কোনো আদেশ আমি পাইনি। তবে আগামীকাল হয়তো আমার কাছে আদেশ আসতে পারে।
এদিকে পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটার, পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ড রুম, স্টাফ কোয়ার্টারসহ বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে ঘুরে দেখেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালে উপস্থিত ইনডোর ও আউটডোর রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ নেন।
পরিদর্শনকালে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেশ কিছু অনিয়ম দেখতে পান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেখানে কমপ্লেক্স চত্বরে সহজে দৃষ্টিযোগ্য স্থানে চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারের স্থান পরিবর্তন সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন দেখে বিষ্ময় প্রকাশ করে উপস্থিত স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের এর কারণ ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সময় উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভেতরে দৃষ্টিযোগ্য স্থানে চিকিৎসকদের স্থান পরিবর্তন সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন কীভাবে থাকতে পারে? প্রাইভেট ক্লিনিক ও চেম্বারের সঙ্গে এই সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কারো স্বার্থ না থাকলে এটি হতে পারতো না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেখানে হাত পরিষ্কার করতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার চাইলে উপস্থিত কর্মকর্তারা সেটি দিতেও ব্যর্থ হলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, একটি সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র চলছে অথচ সেখানে কোনো হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হয় না। এটি কীভাবে হতে পারে? আমি পরিষ্কার ভাষায় এখানে বলে যাচ্ছি, শুধু বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ত্রুটিই দেখব না, সরকারি হাসপাতালে এ ধরনের অব্যবস্থাপনা হলে সংশ্লিষ্ট কেউই মাফ পাবেন না।