ডেস্ক রিপোর্ট

৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৬ অপরাহ্ণ

সুশীল সমাজের একাংশ মানুষের মধ্যে কনফিউশন তৈরির চেষ্টা করছে

আপডেট টাইম : জানুয়ারি ৬, ২০২৪ ১০:৫৬ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

অধিকার ডেস্ক: একদল রাজনীতিবিদ যারা ভোট বর্জনের রাজনীতি করছে, সুশীল সমাজের একাংশ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গুজববাজ অপপ্রচারকারীরা মানুষের মধ্যে কনফিউশন তৈরি করার জন্য, ভিন্ন খাতে দেখানোর জন্য অপপ্রচার করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব মোহাম্মদ এ আরাফাত।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলটির ডাকা এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আরাফাত বলেন, প্রতিটি হামলার ক্ষেত্রে যখনই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, যখনই কেউ ধরা পড়ছে, পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে, হয় সে স্বেচ্ছাসেবক দলের, হয় ছাত্রদল, না হয় যুবদল, না হলে বিএনপির কোনো না কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মী। তারা অনেকেই ধরা পড়ার পর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন এলেই বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন বিমুখ চিত্র প্রকাশ হয়ে পড়ে। গণতন্ত্রের ধারার বাইরে গিয়ে তারা আবারও ২০১৪-১৫ সালের মতো পথ বেছে নিয়েছে। গতকাল (শুক্রবার) যশোর থেকে আসা বেনাপোল এক্সপ্রেসে যে আগুন জ্বলেছে, মা ও শিশু সন্তানসহ চারটি তাজা প্রাণ ঝড়ে গেছে। আরও কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন যাদের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক জ্ঞাপন করছি, আহতদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, গতকাল (শুক্রবার) ও আজ বিএনপি-জামায়াত দেশের ২০টিরও বেশি ভোটকেন্দ্র আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। রাজবাড়ীর একটি স্কুলে পাহারায় থাকা গ্রাম পুলিশের এক সদস্যকেও তারা হত্যা করেছে। রামুতে রাখাইন মন্দিরে আগুন দিয়েছে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন। ডেমরা ও কুমিল্লায় দুটি বাসে আগুন দিয়েছে তারা। ভোলাতে বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর ও হামলা করেছে। এ চিত্র শুধু গত দুই দিনের। নির্বাচনের বিরোধিতা ও সন্ত্রাসের ইতিহাস বিএনপির ডিএনএতেই আছে।

আরাফাত বলেন, পরিতাপের বিষয় হলো, এই নাশকতা তারা করছে এবং মানুষকে হত্যা করছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে তাদেরই পার্টনার ইন ক্রাইম একদল মানুষ তারা এক্স, ফেসবুক এবং টেলিভিশন টকশোতে ও অনলাইন বিভিন্ন মাধ্যমে অসত্যভাবে অপপ্রচার করে সবগুলো দোষ সরকারের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করে। মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি করার চেষ্টা করে।

তিনি বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে কিছুদিন আগে ডিজি হেলথের কাছে লেখা হয়েছিল হাসপাতালগুলো বিশেষভাবে সুরক্ষিত রাখার জন্য। বিএনপির যখনই কোনো কর্মসূচি হয়, এর আগের দিন রাত থেকেই শুরু হয়ে যায় নাশকতার এসব ঘটনা। পুলিশ সেকেন্ড লাইন অব ডিফেন্স হিসেবে মাথায় রাখে আহতদের তাড়াতাড়ি যেন স্বাস্থ্যসেবাটা দেওয়া যায়। সেই চিঠিকে তারা সামনে এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করেছে যে, পুলিশ আগে থেকে কীভাবে জানল? আমরা তো বলি, এটা সারা বাংলাদেশের মানুষ জানে। আজ হরতাল দিয়েছে বিএনপি, রাত থেকেই অগ্নিসন্ত্রাস শুরু হয়ে যাবে।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বিএনপি ভোট বর্জনের রাজনীতি করছে। তারা বলছে, মানুষ যেন ভোট দিতে না যায়। এখন তারা ভোট বর্জন করছে, তাদের যদি সে আস্থা থাকে মানুষ ভোট দেবে না, তাদের তো লিফটের বিতরণ করার প্রয়োজন নেই। ভোটের দিন তাদের তো হরতাল দেওয়ার প্রয়োজন নেই। মানুষ তো এমনিই ভোট বর্জন করবে, তাদের কথা অনুযায়ী। তার মানে তারা নিজেরাও বিশ্বাস করে না যে মানুষ ভোট বর্জন করবে। যেহেতু তারা এটা বিশ্বাস করে না, সেজন্য তারা প্রথমে লিফলেট বিতরণ করেছে। এরপর তারা হরতালে ডাক দিয়েছে। নতুন করে নাশকতা করার মাধ্যমে মানুষকে পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। হুমকি দিচ্ছে যেন মানুষ ভোট দিতে না আসে।

এসময় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন