ডেস্ক রিপোর্ট
১৫ জুলাই ২০২৩, ৯:৫৫ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক : বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি। অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চলসহ চরাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৬০ হাজার মানুষ। অনেক চরাঞ্চলের ঘরবাড়ি ও নিচু এলাকার কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে গেছে। অনেকে উঁচু স্থান ও নৌকায় বসবাস করছেন।
শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে ধরলা নদীর পানি সদর পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদীর পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বালাডোবা চরের কাদের মিয়া বলেন, ‘আমার বাড়িতে পানি উঠেছে। বউ বাচ্চাকে উঁচু স্থানে রাখছি। নৌকা যোগে ঘরের অন্যন্য জিনিসপত্র খুলে নিচ্ছি। গতকাল ১০ কেজি চাল পাইছি। চাল পেলে কী হবে রান্না করা খুব কষ্ট। খাবার পানিরও খুব কষ্ট, অনেক দূর থেকে পানি এনে খাইতে হয়। সব মিলিয়ে অনেক কষ্টে আছি।
ওই ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাডোবা চরের হাসিনা বেগম বলেন, রাত থেকে আমার ১ বছর বয়সী বাচ্চাটা অসুস্থ। প্রচুর জ্বর-সর্দি আশপাশে কোনো ডাক্তার নেই। বাচ্চাটা শুধু কান্না করছে। তার কান্না দেখে খুব কষ্ট লাগছে। তাই আজ নৌকা যোগে মোল্লার হাটে নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এখানে কোনো সরকারি মেডিকেল টিম আসেনি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির পর বর্তমানে কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় থাকলেও এখনো দুধকুমার ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আগামী ২-১ দিনের মধ্যে ধরলা, দুধকুমারের পানি কমতে শুরু করলেও ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়তে পারে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ জানান, পানিবন্দি মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রয়েছে। গতকাল ৬০০ পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। আজও ত্রাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।