ডেস্ক রিপোর্ট
২৯ এপ্রিল ২০২২, ৫:০৫ অপরাহ্ণ
অধিকা ডেস্ক:: দলের‘বড় অংশ’কে বাদ দিয়ে ঢাকা জেলার বিভিন্ন থানা, উপজেলা ও পৌরসভায় ‘তথাকথিত’ কর্মী সম্মেলন এবং কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিএনপি নেতাদের একাংশের। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ঢাকা জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন উপজেলা ও থানার সাবেক নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ উসমানি বলেন, বিভিন্ন উপজেলা, থানা, পৌরসভার কাউন্সিল ও কমিটি গঠনে ঢাকা জেলা বিএনপির স্বেচ্ছাচারী মনোভাব, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম করে যাচ্ছে। অথচ ঢাকা জেলা বরাবরই বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও আন্দোলন-সংগ্রামের ভূমিকা বিবেচনায় ঢাকা জেলা বিএনপি সাংগঠনিকভাবে সবসময়ই অন্য যেকোনো জেলার চেয়ে অনেক শক্তিশালী।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে ঢাকা জেলা বিএনপির বর্তমান শীর্ষ নেতৃত্ব নিজেদের অবস্থান রক্ষার স্বার্থে অতীত ইতিহাস ঐতিহ্যকে কলঙ্কিত করছে। আজ তারা নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করতে দলকে ছিন্নভিন্ন করতে পিছপা হচ্ছে না।
ঢাকা জেলা বিএনপির কাউন্সিলকে সামনে রেখে শীর্ষ নেতৃবৃন্দ দলের একটি বড় অংশকে বাদ দিয়ে বিভিন্ন ইউনিটে তাদের অনুসারীদের নিয়ে কর্মী সম্মেলন করছে বলে দাবি করে হারুনুর রশিদ বলেন, দোহার, নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপায় নিজ গ্রামে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের বাড়িতে দোহার থানা ও পৌরসভা বিএনপির কর্মী সম্মেলন হয়েছে। একই দিনে একই স্থানে, একই অতিথি নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা, দোহার থানা ও পৌরসভার কর্মী সম্মেলন হয়েছে। একই ঘটনা ঘটেছে সাভার থানা ও পৌরসভা এবং আশুলিয়া থানায়।
হারুনুর রশিদ উসমানি বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক চাচ্ছেন যেনতেনভাবে উপজেলা, থানা ও পৌরসভা বিএনপির কমিটি গঠন করে সেই কমিটির মাধ্যমে জেলা বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন করতে। যাতে তারা আবারও নিজ নিজ পদে বহাল হতে পারেন। কিন্তু তারা এটা জানেন না যে, তাদের এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে দলের শত শত নেতাকর্মী প্রস্তুত রয়েছেন।
দলের বৃহত্তর অংশকে বাদ দিয়ে কর্মী সম্মেলন-কমিটি গঠন কখনও দলের জন্য মঙ্গলজনক হতে পারে না বলে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, তাই দলের ত্যাগী, পরীক্ষিত ও যোগ্য নেতাদের সমন্বয়ে কমিটি পুনর্গঠনের জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি উপেক্ষা করে বিতর্কিত কমিটির মাধ্যমে জেলা বিএনপির কাউন্সিল হলে যে কোনো পরিস্থিতির দায়ভার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিতে হবে। আশা করি দলের বৃহত্তর স্বার্থে জেলা বিএনপি পরিস্থিতি বিবেচনায় যত দ্রুত সম্ভব একটি যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছাবেন। অন্যথায় তাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবেদ হোসেন, দোহার থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম ব্যাপারী, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শাহিন খন্দকার, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর খালাসী, আবদুর রশিদ, ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিন, ঢাকা জেলা যুবদলের বর্তমান সভাপতি রেজাউল কবির পল, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ প্রমুখ।