ডেস্ক রিপোর্ট

২৭ এপ্রিল ২০২২, ১২:৫২ অপরাহ্ণ

ছাত্র ইউনিয়নের সাত দশক উদযাপনে জাতীয় কমিটি ঘোষণা

আপডেট টাইম : এপ্রিল ২৭, ২০২২ ১২:৫২ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

অধিকার ডেস্ক:: লড়াই, সংগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন তার গৌরবময় পথচলার ৭০তম বর্ষে পদার্পণ করেছে ২৬ এপ্রিল, ২০২২ ।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে র‌্যালি পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ায় আলোচনা সভা এবং পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মোঃ ফয়েজ উল্লাহ’র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক দীপক শীলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অবক্তরা বলেন ছাত্র ইউনিয়নের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এদেশের শিক্ষার্থী, আপামর জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তারা বলেন, “১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের যে অংশ জরুরি অবস্থা ভেঙ্গে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে মিছিল বের করেছিলেন তাদের বৃহৎ অংশ পরবর্তীতে মিলিত হয়ে গঠন করেন এই ভূখণ্ডের প্রথম অসাম্প্রদায়িক এবং একমাত্র ছাত্র গণসংগঠন।

বক্তারা বলেন, জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বৈষম্যহীন একমুখী, বিজ্ঞানভিত্তিক, অসাম্প্রদায়িক শিক্ষানীতির জন্য লড়াই অব্যাহত রেখেছে। একইসাথে এদেশের মানুষের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লড়াই সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০’র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ২০০৭ এর সেনাহঠাও আন্দোলনে ছাত্র ইউনিয়নের ভূমিকা অনস্বীকার্য। মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধারা মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের সাথে অংশগ্রহণ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলন, সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী আন্দোলন, গনতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্র ইউনিয়নের রয়েছে অসংখ্য শহীদ। বাংলাদেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে জড়িত রয়েছে ছাত্র ইউনিয়নের নাম। এখনো বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন স্বৈরাচারী রাষ্ট্র কাঠামোর বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রহীনতা, শিক্ষাবানিজ্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে তার লড়াই জারি রেখেবে এবং শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিনির্মানে ছাত্র ইউনিয়ন লড়াই জারি রাখবে।সেই সাথে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের, বৈষম্যহীন একমুখী, বিজ্ঞানভিত্তিক, অসাম্প্রদায়িক শিক্ষানীতির লড়াই জোরদার করার আহ্বান জানাই।”

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, কেন্দ্রীয় সংসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি খায়রুল হাসান জাহিন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি রেজোয়ান হক মুক্ত, ঢাকা মহানগর সংসদের সভাপতি শাহারিয়ার ইব্রাহীম, গাজীপুর জেলা সংসদের সভাপতি দিদারুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহম্মেদ।

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্মৃতি চারণ মূলক বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি ডা. ফজলুর রহমান, প্রখ্যাত সাংবাদিক সোহরাব হোসেন, সিপিবি ঢাকা কমিটির সাবেক সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির নেতা ও ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী, কৃষকনেতা জামাল হায়দার মুকুল, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শরিফুজ্জামান শরিফ, যুব ইউনিয়নের সভাপতি হাফিজ আদনান রিয়াদ, সাবেক ছাত্রনেতা ফারুক আহমেদ আবীর,কাপাসিয়ার কৃষকনেতা আলতাফ হোসেন প্রমুখ।

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সাবেক সভাপতি আসলাম খান, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, মানবেন্দ্র দেব, ফেরদৌস আহম্মেদ উজ্জ্বল, হাসান তারেক, লাকি আক্তার, জি.এম জিলানী শুভ এবং মেহেদি হাসান নোবেল, সাবেক ছাত্রনেতা ডা. সাজেদুল হক রুবেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কাবেরী গায়েনসহ প্রমুখ।

পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানের সমাপনী পর্বে ছাত্র ইউনিয়নের সাত দশক উদযাপন জাতীয় কমিটি’র চেয়ারম্যান এবং সদস্য সচিবের নাম ঘোষণা করেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ ফয়েজ উল্লাহ। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি পরিষদ ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।

ছাত্র ইউনিয়নের সাত দশক উদযাপন জাতীয় কমিটি’র চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন, সাবেক ছাত্রনেতা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর, গোলাম আরিফ টিপু এবং সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল।

শেয়ার করুন