ডেস্ক রিপোর্ট
২১ মার্চ ২০২২, ৭:০৬ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক:: দেশের আট বিভাগের ৩৫টি জেলার ৫৮টি উপজেলায় পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণের জন্য ৪ হাজার ৫০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ (২য় পর্যায়)’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য তোলা হবে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।
জানা গেছে, পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। একনেকে অনুমোদন পেলে প্রকল্পটি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০২৬ সালে বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব করা হয়েছিল।
পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে পরিবহনের সময় ও ব্যয় কমবে। একই সঙ্গে কৃষি-অকৃষি পণ্য পরিবহন ব্যবস্থাও সহজ হবে। পাশাপাশি প্রকল্প এলাকায় স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে। এছাড়া, প্রকল্পের আওতায় ১৭ হাজার ৬৯৭ মিটার সেতু, ৪ হাজার ২৩০ মিটার সেতুর নদীশাসন এবং ৩৮ হাজার ৮০০ মিটার সেতুর অ্যাপ্রোচ-সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে।
কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) শরিফা খান বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষি ও অকৃষি পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা সহজ হবে। এর বাইরেও স্বল্প বা দীর্ঘ মেয়াদে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে। এছাড়া এই প্রকল্পে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন, সেতু নির্মাণ বা পুনর্বাসন, গ্রোথ সেন্টার বা বাজার উন্নয়ন ইত্যাদির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যা অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে প্রকল্পটি সংগতিপূর্ণ।