ডেস্ক রিপোর্ট

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ৩:৫০ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন কর্নারের যাত্রা শুরু

আপডেট টাইম : ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩ ৩:৫০ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

অধিকার ডেস্ক:: যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন কর্ণার। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার গুলশান ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এই কর্নারের উদ্বোধন করেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

বাংলাদেশের তরুণদের সম্পৃক্ত করার জন্য হাই কমিশনের কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে এই কর্নার উদ্বোধন করা হয়। এটি বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন অ্যালামনাইদের সঙ্গে পুনরায় সংযোগ স্থাপনের কর্মসূচির অংশ।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন হলো একটি বহুল আলোচিত কর্মকাণ্ড যা ভারত সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে আন্তর্জাতিক যুব বিনিময় কার্যক্রমের অধীনে পরিচালিত হয়। এই কর্মসূচির লক্ষ্য দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়, নেতৃত্বের বিকাশ ও মানুষে-মানুষে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা। ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে, এই প্রোগ্রামটি প্রায় ৮০০ জন বাংলাদেশি যুবককে ভারত সফর করা এবং দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক বোঝাপড়াকে উৎসাহিত করে এমন বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে।

 

ভারতীয় দূতাবাস জানায়, বিওয়াইডি কর্নার ডেলিগেটদের একে অপরের সঙ্গে দেখা করার, আলাপচারিতা করার ও তাঁদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করার জন্য একটি অনন্য সুযোগ প্রদান করবে। অ্যালামনাইদের জন্য বিওয়াইডি কর্নারে নিয়মিত সাক্ষাতের আয়োজন করা হবে। এছাড়াও হাই কমিশন ও তরুণ অ্যালামনাইদের মধ্যে আদান-প্রদানকে আরও প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে প্রোগ্রাম চলাকালীন একটি বিওয়াইডি অ্যালামনাই পোর্টালও চালু করা হয়। হাইকমিশন বিওয়াইডি অ্যালামনাইদেরকে ইন্টার্নশিপ, স্কলারশিপ ও অন্যান্য পরিষেবার ক্ষেত্রে আরও সুযোগ ও সুবিধা প্রদানের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।

হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা তাঁর বক্তব্যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি মূল্যবান যোগসূত্র হিসেবে তরুণদের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে বন্ধুত্বের দৃঢ় বন্ধন স্থাপনে বাংলাদেশের প্রাণবন্ত ও গতিশীল যুবসমাজের দক্ষতার প্রতি তাঁর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

 

হাইকমিশনার ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার সম্পর্কের তাৎপর্যও তুলে ধরেন, যার মূলে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের যৌথ আত্মত্যাগ। তিনি তাঁর আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করে বলেন যে, বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশনের অ্যালামনাইগণ বিভিন্ন প্রেক্ষাপট ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তাঁদের সম্প্রদায়, তাঁদের দেশ ও বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।

 

বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন অ্যালামনাইগণের এই একত্রিত হওয়া তাঁদের পুন:সংযোগ, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও বন্ধুত্ব, বোঝাপড়া ও সহযোগিতার মূল্যবোধের প্রতিশ্রুতি পুনর্নবীকরণের একটি অনন্য সুযোগ ছিল যা এই হলো এই কার্যক্রমের অন্তরালের মূল ধারণাকে সমর্থন করে।

শেয়ার করুন