ডেস্ক রিপোর্ট

৮ নভেম্বর ২০২৪, ৭:০০ অপরাহ্ণ

রুশ বিপ্লবের বার্ষিকীতে সিলেটে সাম্যবাদী আন্দোলনের মিছিল ও সভা

আপডেট টাইম : নভেম্বর ৮, ২০২৪ ৭:০০ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

অধিকার ডেস্ক: মহান রুশ বিপ্লবের ১০৭ তম বার্ষিকীতে বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন সিলেট জেলার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও মিছিল আজ ০৮ নভেম্বর, শুক্রবার, বিকাল ৪ টায় সিলেট নজরুল একাডেমির হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সাম্যবাদী আন্দোলন সিলেট জেলার সমন্নয়ক কমরেড সুশান্ত সিনহা সুমন এবং পরিচালনা করেন জেলা সদস্য এডভোকেট মহিতোয দেব মলয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন কেন্দ্রীয় ফোরামের সমন্নয়ক কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বাংলাদেশ জাসদ সিলেট মহানগরের সভাপতি এডভোকেট জাকির আহমেদ, বাম জোট সিলেট জেলার সমন্নয়ক ও বাসদ সিলেট জেলার আহবায়ক কমরেড আবু জাফর, সাম্যবাদী আন্দোলন সিলেট জেলার সদস্য এড. রনেন সরকার রনি, চা শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক রিদেশ মুদি, গনতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল সিলেট নগরের সভাপতি বিশ্বজিত শীল প্রমুখ।

সভায় কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন ৭ নভেম্বর ২০২৪ মহান রুশ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ১০৭ তম বার্ষিকী। ১৯১৭ সালের এই দিনে রাশিয়ার বিপ্লবী শ্রমিকশ্রেণীর, গরিব কৃষক, মেহনতি জনগণ এক অভূতপূর্ব বিপ্লবের মাধ্যমে শত শত বছরের শোষণ ও দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়েছিল। প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। অর্থনীতি, শিক্ষা – সংস্কৃতি, জ্ঞান – বিজ্ঞান, মানব সম্পদ – সব ক্ষেত্রে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন উন্নয়নের উচ্চতর শিখরে পৌঁছেছিলো। কমরেড লেনিনের নেতৃত্বে ও তাঁর হাতে – গড়া বিপ্লবী বলশেভিক পার্টির পরিচালনায় রুশ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব জয়যুক্ত হয়েছিল। কমরেড লেনিনের অকাল মৃতুর পর কমরেড স্ট্যালিনের দৃঢ নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মানের কর্মজজ্ঞ বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছিলো। কমরেড স্ট্যালিনের মৃতুর পর শোধনবাদীরা সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্ব দখল করে। সে শোধনবাদী পথে চলতে চলতে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত রাস্ট্রের পতন ঘটে এবং সেখানে পুনরায় পুঁজিবাদের আবির্ভাব ঘটে। সোভিয়েত ইউনিয়ন আজ না থাকলেও, মহান রুশ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ও সমাজতন্ত্রের গৌরব আজও অম্লান, আজও সমুজ্জ্বল।

আমাদের দেশে গত জুলাই – আগস্ট মাসে গনঅভুয়থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটেছে। আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র- শ্রমিক – জনতার রক্তক্ষয়ী এ অভুথ্যান শুধু আমাদের দেশে নয়, সমকালীন বিশ্বরাজনীতিতেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। শোষণ – দুঃশাসনে অতিষ্ঠ মানুষ জীবনের মায়া তুচ্ছ করে সরকার পতনের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলো। রাজপথ রঞ্জিত হয়েছিলো মুক্তি প্রত্যাশি মানুষের রক্তে। জনতার রুদ্ররোষে ৫ আগস্ট গণভবন পতন আমাদের স্মরন করিয়ে দিয়েছিলো ঐতিহাসিক ফরাসি বিপ্লবের সময় কুখ্যাত বাস্তিল দূর্গ পতনের ইতিহাস। কিন্তু অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে অভুথ্যানকারী জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের কায়দায় দেশ শাসন করছেন, শ্রমিক স্বার্থ বিরুধী কার্যক্রম করছে, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বুকে গুলি চালিয়েছে।

ফলে রুশ বিপ্লবের চেতনায় গণ অভ্যুত্থানের ধারাকে সমাজ বিপ্লবের লক্ষ্যে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি সকালের প্রতি আহবান জানান। সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিলেট জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড আনোয়ার হোসেন সুমন, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সিলেট জেলার সভাপতি কমরেড সিরাজ আহমদ, বাসদ(মার্ক্সবাদী) সিলেট জেলার নেতা সঞ্জয় কান্ত দাস, বৈষম্য বিরুধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মনিষা ওয়াহিদ, সফররাজ সানোয়ার প্রমুখ।

শেয়ার করুন