ডেস্ক রিপোর্ট

৩ জুন ২০২৪, ৩:৩৭ অপরাহ্ণ

ব্যাটারী রিকশার লাইসেন্সের দাবিতে খুলনায় মিছিল-সমাবেশ ও স্মারকলিপি পেশ

আপডেট টাইম : জুন ৩, ২০২৪ ৩:৩৭ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

অধিকার ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে অবিলম্বে নীতিমালা প্রণয়ন করে ব্যাটারী রিকশার লাইসেন্স দেয়ার দাবিতে খুলনা নগরীতে সমাবেশ, মিছিল এবং স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে।

অবিলম্বে সংগ্রাম পরিষদের সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করে ‘থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ২০২১’ চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ, ব্যাটারীচালিত রিকশার লাইসেন্স, চালকদের প্রশিক্ষণ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া, প্রতিটি মহাসড়ক ও বড় সড়কে দ্রুতগতি ও স্বল্পগতির বাহনের জন্য আলাদা লেন/সার্ভিস রোড নির্মাণ করা, রিকশাচালকদের উপর হয়রানি বন্ধ করা, আটককৃত সকল গাড়ী ব্যাটারী ও মোটরসহ ফেরত দেয়া এবং সংগ্রাম পরিষদের নেতাকর্মী সহ আটককৃত সকল শ্রমিকদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা সহ ৭ দফা দাবিতে আজ খুলনা নগরীতে সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে রিকশা, ব্যাটারী রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ খুলনা মহানগর কমিটি।

দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ১০টায় নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ের সমাবেশে সংগঠনের খুলনা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন বাবুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব জনার্দন দত্ত নান্টুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ খুলনা জেলা সদস্য সচিব কোহিনুর আক্তার কনা, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট খুলনা জেলা সভাপতি আব্দুল করিম, সংগঠনের খুলনা মহানগর নেতা মোঃ মানিক মিয়া, মোঃ সেলিম খাঁ, ইলিয়াস হোসেন, মুরাদ হোসেন, বাবুল হোসেন, শহীদুল ইসলাম লিটন, জাহাঙ্গীর হোসেন, মোঃ মাসুদ, আব্দুল আলিম, নান্টু হাওলাদার, ইয়াসিন মোল্লা প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী গত ২০ মে ‘২৪ তারিখ ঢাকায় শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে নির্দিষ্ট আইনের আওতায় ব্যাটরীচালিত রিক্সা চলাচলের অনুমতি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। রিক্সা, ব্যাটারী রিক্সা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ সারাদেশে এই দাবিতে দীর্ঘ দিন সংগ্রাম করে আসছে। প্রায় ৫ কোটি বেকারের এই দেশে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষের আত্ম কর্মসংস্থানের এই পেশার উপর শাসকশ্রেণি বারবার আঘাত করে ৩ কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকাকে সংকটগ্রস্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রী এবং বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, ব্যাটারী চালিত রিক্সার নকশায় কিছুটা পরিবর্তন সাপেক্ষে স্বল্প ব্যায়ে পরিবেশ বান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার অন্যতম প্রধান শিল্প। তারপরেও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের ভাগাভাগির চাঁদাবাজী অব্যাহত রাখতেই ব্যাটারী রিক্সা উৎপাদনের সকল প্রক্রিয়া চালু রেখে শুধুমাত্র চালানোর উপর বিভিন্ন মাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাখা হয়েছে। সরকার এসব বাহনের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ অপচয়ের যে অভিযোগ করে তা অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

নেতৃবৃন্দ, থ্রি-হুইলার নীতিমালার অধিনে বিআরটিএ কর্তৃক ব্যাটারী রিক্সার বিজ্ঞান সম্মত ডিজাইন নির্ধারণ, এই বাহনের নিবন্ধন এবং চালকদের প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স দেওয়ার মাধ্যমে বিদ্যমান অনিয়মসমূহ দুর করতে পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান। সমাবেশ থেকে রিক্সা শ্রমিকদের জন্য সরকারি উদ্যোগে আবাসন ও রেশনিং-এর ব্যবস্থা করা, দূর্ঘটনায় আহত/নিহত রিক্সাশ্রমিকদের পরিবারকে যুক্তসঙ্গত ক্ষতিপূরণ দেয়ারওরও দাবি জানানো হয়।

শেয়ার করুন