ডেস্ক রিপোর্ট
১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: বাংলাদেশে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত পঙ্কজ শরণ বলেছেন, পৃথিবীর কোনো দেশেরই বলা উচিত না অন্য কোনো দেশে নির্বাচন কীভাবে হবে, সেটা বাংলাদেশে বা ভারতে বা আফগানিস্তান কিংবা অন্য যে কোনো দেশে হোক। এই সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ। না হলে স্বাধীনতা বা সার্বভৌম দেশের মর্মার্থটা কী?
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ-ভারত: প্রতিবেশী দেশের সম্পর্কে রোল মডেল’ শীর্ষক জহুর হোসেন চৌধুরী স্মারক বক্তৃতায় বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ভারতীয় এ কূটনীতিক।
পঙ্কজ শরণ বলেন, আপনাদের প্রতিষ্ঠান আছে, গণমাধ্যম আছে, সব কিছু আছে। নিজেদের সর্বোচ্চটা করুন, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন এবং নির্বাচনে যে ফলাফল আসে গ্রহণ করুন।
তিনি বলেন, আমি বলব, বাংলাদেশের জনগণ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে এবং এখানকার কর্তৃপক্ষ ঠিক করবে কীভাবে নির্বাচন হবে। আমরা চাই সবকিছু যেন নিয়মমাফিক হয় এবং এখানে যেন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি না হয়।
অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কাছে ঢাকা ও দিল্লির সম্পর্ক যেন জিম্মি না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন পঙ্কজ শরণ।
তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশের কোথাও সরকার পরিবর্তন হলেও কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটবে না, এমন জায়গায় দুদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নিতে হবে। আমরা যেসব অগ্রগতি অর্জন করেছি প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশে কিংবা ভারতে সরকার পরিবর্তন হলে এগুলো বহাল থাকবে কি না। এটাই হচ্ছে সম্পর্কের সঠিক পরীক্ষা। বাংলাদেশ ও ভারতে সরকার পরিবর্তন হওয়ার পরে যদি সম্পর্ক পরিবর্তন হয়, তবে বুঝতে হবে ওই সম্পর্কটি অত্যন্ত ভঙ্গুর।
সাবেক এ কূটনীতিক বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক দৃঢ় করার জন্য মৌলিক কিছু উপাদান দরকার। এ ক্ষেত্রে সরকারের বাইরে বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম, ব্যবসায়ী ও যুব সমাজ প্রভৃতি দিকে অংশীজন থাকতে পারে।
২০১২ সালে থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছেন পঙ্কজ শরণ।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক করিমও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক করিম বলেন, বাংলাদেশের কিছু হলে ভারতের ক্ষতি হবে এবং এর উল্টোটাও ঠিক। ভবিষ্যৎ নিরাপদ করার জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দুই দেশের সম্পর্ক রোল মডেল। কেননা, আমরা তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই স্থলসীমান্ত ও সমুদ্র সীমানা নির্ধারণ করেছি, যা সারা পৃথিবীতে বিরল। আমি আশা করি, আমরা যেভাবে সীমানা সমস্যা সমাধান করেছি, একইভাবে পানির সমস্যাও সমাধান করা যাবে।