ডেস্ক রিপোর্ট

৭ মার্চ ২০২৩, ১২:০৬ পূর্বাহ্ণ

ছাত্রলীগের সন্ত্রাস-দখলদারিত্বের প্রতিবাদে ছাত্র জোটের বিক্ষোভ মিছিল

আপডেট টাইম : মার্চ ৭, ২০২৩ ১২:০৬ পূর্বাহ্ণ

শেয়ার করুন

অধিকার ডেস্ক: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস-দখলদারিত্ব ও ত্রাসের রাজত্বের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের বিক্ষোভ মিছিল

সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে একের পর এক ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও গেস্টরুম-গণরুমের নামে শিক্ষার্থী নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।

আজ ৬ মার্চ দুপুর ১২টায় মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চত্ত্বর প্রদক্ষিণ করে অপরাজেয় বাংলায় গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।

মিছিল শেষে সমাপনী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান ও সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক তামজীদ হায়দার চৌধুরী চঞ্চল।

সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক শোভন রহমান, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সহবত শোভন, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি অংকন চাকমা।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ সারাদেশের শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন, দখলদারিত্বের রাজত্ব কায়েম করেছে। সমসাময়িক জাতীয় পত্রপত্রিকা গুলোতেও প্রতিদিনই ছাত্রলীগের দুষ্কর্মের চিত্র দেখা যায়। অপ্রকাশিত চিত্র গুলো সামনে না আসলেও তার ভয়াবহতা সম্পর্কে যে কেউ অনুমান করতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বরাবরের মতোই তার দায় এড়িয়ে গেছে এবং সন্ত্রাসীদেরকে মদদ দিয়েছে। একদিকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা প্রতিদিন প্রতিটি ক্যাম্পাসে গেস্টরুমের নামে ছাত্রদেরকে সারারাত বর্বর কায়দায় নির্যাতন করছে, অপরদিকে ছাত্রলীগ র‍্যাগিং বিরোধী র‍্যালি করে তাদেরই হাতে নির্যাতনের শিকার ইবি শিক্ষার্থী ফুলপরিকে ‘তাদের প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর’ বলে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মত ধৃষ্টতাও দেখাচ্ছে। এই ধৃষ্টতার উপযুক্ত জবাব একদিন শিক্ষার্থীরা দেবে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকার আজ বিশ্ববিদ্যাওয়গুলোকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়, প্রতিবাদহীন আন্দোলনহীন রাখতে চায়, যাতে তাদের অন্যায় অবৈধ শাসনের বিরুদ্ধে কোন আন্দোলন গড়ে না ওঠে। এজন্যই তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খানকে নিয়ে নতুন চক্রান্তের চেষ্টা করেছে। কিন্তু সচেতন শিক্ষার্থীরা সেই চক্রান্তকে রুখে দিয়েছে। এই অবৈধ শাসন তারা বেশিদিন গায়ের জোরে ধরে রাখতে পারবে না। মানুষের বিবেক একদিন জাগ্রত হবেই।

নেতৃবৃন্দ ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক সকলকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস-নির্যাতন-যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান এবং একইসাথে অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খানের মত ন্যায়ের পক্ষে, মানুষের পক্ষে বলিষ্ট অবস্থান নেওয়া শিক্ষকদের উপর সকল চক্রান্তের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হ্বয়ার আহ্বান জানান।

শেয়ার করুন