ডেস্ক রিপোর্ট
২৮ এপ্রিল ২০২২, ১১:৫৮ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক:: সেলসম্যানের মাধ্যমে রেলের টিকিট কালোবাজারি করতেন গ্রেফতার হওয়া ‘সহজ’-এর সাবেক সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম (৩৮)। প্রতি ঈদে তিন হাজার রেলের টিকিট সরিয়ে প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা আয় করতেন তিনি।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর কমলাপুর এলাকা থেকে রেজাউলকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানতে পারে র্যাবের কর্মকর্তারা। এসময় রেজাউলের তথ্যের ভিত্তিতে তার আরও এক সহযোগী এনামুল আলম সম্রাটকে (২৮) বিমানবন্দর রেল স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর কাওরান বাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব ১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত রেজাউল জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন তিনি গত ৬ বছর ধরে রেলওয়ে টিকিটিংয়ে জড়িত। সহজের আগে সিএনএস-এ কর্মরত ছিলেন তিনি। অভিজ্ঞতা থাকায় তাকে নিয়োগ দেয় সহজ।
তবে গ্রেফতারকৃত রেজাউল দাবি করেছেন, ভিআইপিদের টিকিটের আবদার মেটানোর কারণে তিনি নির্বিঘ্নে এ কাজ করে আসছিলেন। রেলওয়ে টিকিটিং সংক্রান্ত অন্য কেউ কালোবাজারিতে জড়িত কিনা এ ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে। কালোবাজারি টিকেট বিক্রেতার মাধ্যমে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায় করতেন রেজাউল।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, রেজাউল করিম নিজস্ব পরিচিত লোকজন এবং সংশ্লিষ্ট পরিচিতদের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে টিকিট প্রত্যাশীদের একটি বড় ক্রেতাশ্রেণি গড়ে তুলেছিলেন। এছাড়া তার নিজস্ব বেশকিছু কালোবাজারি টিকিট বিক্রেতা রয়েছে। রেলওয়ে ই টিকিটিং সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুবিধা নিয়ে তিনি এটিকেটিং সার্ভার থেকে অবৈধ উপায়ে টিকেট বুক এবং কিনতেন। রেজাউল করিম প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে টিকিট সংক্রান্ত যোগাযোগ করে আসছিলেন। তিনি মূলত নগদ অর্থের মাধ্যমে লেনদেন করতেন বলে জানায় র্যাব।
এদিকে সহজ সিনেসিস ভিনসেন (জেভি) এর পাবলিক রিলেশনস ম্যানেজার ফরহাত আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তাকে গ্রেফতারের জন্য র্যাবকে অভিনন্দন। ছয় বছর ধরে রেজাউল করিম রেজা বাংলাদেশ রেলওয়ে স্টেশন সাপোর্ট দিয়ে আসছিলেন। তার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমরা গত ৪ সপ্তাহ আগে নিয়োগ দেই। টিকিট কালোবাজারিতে জড়িত থাকার খবর পাওয়ার পরই আমরা তাকে চাকরিচ্যুত করি।