ডেস্ক রিপোর্ট

৮ এপ্রিল ২০২২, ৬:১১ অপরাহ্ণ

সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে বাঁধ ভেঙে ডুবছে আরো ফসল

আপডেট টাইম : এপ্রিল ৮, ২০২২ ৬:১১ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার এরালিয়াকোনা হাওরে আরেকটি বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যাচ্ছে ফসল। এ কারণে পাশের সন্যাসী ও মিইট্টাডুবা হাওরের ফসল তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, এ তিন হাওরই তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের ভেতরে। এগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ নির্মাণের আওতায় নেই। স্থানীয়রা নিজস্ব উদ্যোগে ছোট ছোট বাঁধ দিয়ে থাকেন।

জেলা কৃষি কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র সোম জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। এখানে কিছু ফসলের ক্ষতি হতে পারে। তবে এটি ধানী হাওর নয়।

এরালিয়াকোনা হাওরপাড়ের মন্দিয়াতা গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক সানজু মিয়া জানান, হাওরে ব্যাপকভাবে পানি বাড়ছে। শুক্রবার সকালে প্রথমে বাঁধের পাশের কান্দা উপচে হাওরে পানি ঢুকে, পরে বাঁধটি ভেঙে যায়।

তিনি জানান, এখানে বেশ কিছু জমিতে এবার বোরো ফসল লাগিয়েছিলেন কৃষকেরা। আজকের মধ্যেই পানিতে পুরো হাওরের ফসল তলিয়ে যাবে। এই হাওরের পাশেই সন্যাসী ও মিইট্টাডুবা হাওর। মাঝখানে ছোট কান্দা এরালিয়া হাওরকে আলাদ করেছে। তাই ওই দুটি হাওরও ডুবে যাবে।

এ তিন হাওরে তিন হাজার একর জমি আছে বলে জানান তিনি।

গত এক সপ্তাহ ধরে ভারতের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জি থেকে নামা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পায়। এতে ঝুঁকিতে পড়ে জেলার সব হাওরের বোরো ফসল।

গত শনিবার প্রথমে তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের একটি বাঁধ ভেঙে ফসল তলিয়ে যায়। এরপর একে একে আরো হাওরের ফসলহানি ঘটে।

এ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ১১টি হাওরের বাঁধ ভেঙে ফসলহানি ঘটেছে। পাহাড়ি ঢল নামা অব্যাহত থাকায় এখন জেলার সব হাওরের ফসলই ঝুঁকির মুখে রয়েছে। অনেক বাঁধে ধস ও ফাটল দেখ দিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোডের্র (পাউবো) কর্মকর্তা বলছেন, উজানের (ভারতের চেরাপুঞ্জি) বৃষ্টিই ভয়ের মুল কারণ। সুনামগঞ্জ তেমন বৃষ্টি নেই। ঢল নামা অব্যাহত আছে। তবে পরিস্থিতি এখন আগের চেয়ে উন্নতি হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবার জেলায় ২ লাখ ২২ হাজার ৮০৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৩ লাখ ৫০ হাজার ২২০ মেট্রিক টন।

তাদের হিসাব মতে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় বিভিন্ন হাওরে ফসলহানি চার হাজার ৩৫০ হেক্টর জমির। তবে হাওর আন্দোলনের নেতারা বলছেন ক্ষতির পরিমাণ আট থেকে ১০ হাজার হেক্টর হবে।

শেয়ার করুন