ডেস্ক রিপোর্ট

২৮ জানুয়ারি ২০২২, ১০:০২ অপরাহ্ণ

অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সমাবেশ

আপডেট টাইম : জানুয়ারি ২৮, ২০২২ ১০:০২ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

অধিকার ডেস্ক:: সকল ধরনের জ্বালানির অযৌক্তিক অব্যাহত মূল্য বৃদ্ধি ও নিত্যপ্রযোজনীয় দ্রব্যের অগ্নিমূল্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি খলিলুর রহমান খান।

বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) এম. জাহাঙ্গীর হুসাইন, কেন্দ্রীয় সদস্য ও বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট মিস্টি বেকারি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, ঢাকা পোষাক প্রস্তুতকারী শ্রমিক সংঘের নেতা মাহবুবুল আলম মানিক। সমাবেশ পরিচালনা করেন সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, লুটেরাদের লুটের স্বার্থের পাহারাদার স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার জাতীয় স্বার্থ ও জনজীবনের প্রয়োজনকে পদদলিত করে একের পর এক নানা অজুহাতে সকল ধরনের জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি করে চলায় সমাজে দ্রুত বাড়ছে ধনী দরিদ্রের বৈষম্য। জাতীয় ও জনজীবনের সকল ক্ষেত্রে যখন সংকট ও অনিশ্চয়তা বাড়ছে মহাজোট সরকার তখন উন্নয়নের জারি গান ও প্রবৃদ্ধির গল্প শোনাচ্ছে। বর্তমান সরকার উন্নয়নের যে গান বাজাচ্ছে তাতে লাভ হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী একচেটিয়া লগ্নি পুঁজি ও তাদের এদেশীয় আমলা দালাল সরকার দলীয় এমপি, মন্ত্রী ও তাদের উচ্ছিষ্ট ভোগী একদল তোষামদকারী। আর এই তোষামদকারীরাই জ্বালানির মূল্য ও দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে তথ্য-উপাত্ত ও পরিসংখানের মারপ্যাঁচে ন্যায্যতা প্রদানের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

বক্তারা বলেন, দেশের এই সামগ্রিক অবস্থায় যখন মানুষ বিশেষ করে শ্রমিক কৃষক জনগণ দিশেহারা তখন গণতন্ত্রের নামে নিছক ভোট বেপারীরা এবং তাদের প্রভুরা মিলে ঘোলাপানিতে মাছ ধরার চেষ্টা করছে। আর আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্বের কারণে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব নিয়ে উলঙ্গ প্রতিযোগিতা চলছে। তারই রূপ হচ্ছে মার্কিন সরকারে পক্ষ থেকে র‌্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার উপর নিষেধজ্ঞা, আর অন্যদিকে মার্কিনের সামরিক জোট কোয়াডে যুক্ত হলে তার পরিমান কি হবে তা নিয়ে চীনের প্রতিক্রিয়া। দেশের এই গভীর রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সংকটের সমাধান হতে পারে স্বৈরাচারী শাসন ও স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিবর্তন করে। সবশেষে সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন জাতীয় ও জনজীবনের স্বার্থ রক্ষা ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সা¤্রাজ্যবাদ ও তার দালাল বিরোধী শক্তির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা।

শেয়ার করুন