ডেস্ক রিপোর্ট
৮ মে ২০২১, ১০:৫৯ অপরাহ্ণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারের পরিস্থিতি ক্রমশ অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। গণতন্ত্রকামীদের টানা বিক্ষোভ ও তাতে জান্তার দমন-পীড়ন-হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হয়েছে দেশটির কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন। জান্তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিয়েছে বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী সংগঠন। এবার দেশটির সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটি দখল করেছে কারেন বিদ্রোহীরা।
শুক্রবার মায়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্তে সালউইন নদীর কাছে সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে হামলা চালায় বিদ্রোহী সংগঠন কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন-এর সামরিক শাখা কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি। কয়েক রাউন্ড গুলির পর প্রায় বিনাযুদ্ধে সেনা ঘাঁটিটি দখল করে সংখ্যালঘু কারেন সম্প্রদায়ের বিদ্রোহী সংগঠনটি।
এই ঘটনার কয়েকদিন আগে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে সরকারি বাহিনীর আরও একটি ঘাঁটি দখল করে জ্বালিয়ে দেয় কারেন বিদ্রোহীরা। ফলে রীতিমতো চাপে পড়েছে সামরিক জান্তা।
মিয়ানমারের কারেন প্রদেশে দীর্ঘদিন ধরেই স্বশাসনের দাবি জোরালো হচ্ছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অং সান সু চি’র সরকার ক্ষমতায় আসার পর আলোচনার টেবিলে এসেছিল সংগঠনটি। কিন্তু সেনা অভ্যুত্থানের পর আলোচনা ভেস্তে যায়। কারেন বিদ্রোহীদের উপর লাগাতার বিমান হামলা চালাচ্ছে সরকারি সেনারা। ফলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা নিজেদের হাতে নেয় সেনাবাহিনী। বন্দি করা হয় রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলর অং সান সু কি-সহ নির্বাচিত সরকারের শীর্ষ নেতাদের। তারপর থেকেই সে দেশে গণতন্ত্রের দাবিতে চলছে তুমুল বিক্ষোভ। পাল্টা অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী। এখন পর্যন্ত নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৭০০জন গণতন্ত্রকামী।
এদিকে মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে গত একদিনে শতাধিক আন্দোলনকারীকে হত্যার পর থেকেই মিয়ানমারের প্রত্যন্ত এলাকার গেরিলা বাহিনীগুলো সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গোপন প্রতিরোধ শুরু করেছে। ২০ বা তার বেশি সশস্ত্র গেরিলা বাহিনী গর্জে উঠেছে জান্তার বিরুদ্ধে।