ডেস্ক রিপোর্ট

২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩১ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে বাসদ নেতা জয়সহ তিনজনকে গ্রেপ্তারে বামজোটের নিন্দা

আপডেট টাইম : এপ্রিল ২৯, ২০২৫ ১১:৩১ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

অধিকার ডেস্ক: বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ, সিপিবির সভাপতি কমরেড শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশরেফা মিশু, বাসদ মার্কসবাদীর সমন্বয়ক কমরেড মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি কমরেড আব্দুল আলী আজ ২৯ এপ্রিল ২০২৫ সংবাদপত্রে দেওয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে চট্টগ্রাম জেলা বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাসদ এর জেলা ইনচার্জ আল কাদেরী জয়, ছাত্র ফ্রন্ট জেলা সভাপতি মিরাজ উদ্দিন, ব্যাটারি রিকশা, ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের নেতা রুকনকে নিবর্তনমূলক কালো আইন ‘বিশেষ ক্ষমতা আইনে’ গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, নিবর্তমূলক বিশেষ ক্ষমতা আইনটি ১৯৭৪ সালে প্রণয়ন করা হয়েছিল বিরোধী রাজনৈতিক দল ও মতকে দমন করার উদ্দেশ্যে। এই আইনে কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই যে কোন ব্যক্তিকে বছরের পর বছর কারাগারে পুরে রাখা যায়। এই আইনে বিভিন্ন সময়ে দেশের সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, লেখক, সাংবাদিক কারাভোগ করেছেন। বিরোধী দলে থাকলে সকলেই এই আইন বাতিলের দাবি করেন। কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে কেউই এই কালো আইন বাতিল করেননি। বর্তমানের গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারও অতীতের স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকারগুলোর মতোই জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমনে কুখ্যাত কালো আইন ব্যবহার করছে যা খুবই দুঃখজনক।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে ৫০ লাখের অধিক ব্যাটারি রিকশা, ইজিবাইক চালক ও তাদের পরিবারসহ প্রায় ৩ কোটির অধিক মানুষ এই ব্যাটারি চালিত যানবাহনের উপর নির্ভরশীল। দীর্ঘদিন ধরে ব্যাটারি চালিত রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইকের আধুনিকায়ন করে নীতিমালা প্রণয়ন ও লাইসেন্স প্রদানের দাবি জানানোর পরও সরকার তা না করে অবৈধভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে শ্রমজীবী দরিদ্র মানুষের জীবিকা হরণ করছে। ব্যাটারি চালিত যানবাহনের অন্যায় উচ্ছেদ ও জব্দ করা বন্ধের দাবিতে আজ ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রামের দেওয়ানহাটের মোড়ে সংগ্রাম পরিষদের পূর্ব ঘোষিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে চট্টগ্রাম জেলা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক, বাম জোট চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক ও বাসদ জেলা ইনচার্জ আল কাদেরী জয়, ছাত্রফ্রন্ট নেতা মিরাজ উদ্দিন, সংগ্রাম পরিষদ নেতা রুকনকে গ্রেপ্তার করে নিবর্তনমূলক কালো আইন ‘বিশেষ ক্ষমতা আইনে’ মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে আল কাদেরী জয়, মিরাজ, রুকনের নিঃশর্ত মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং নীতিমালা প্রণয়ন করে ব্যাটারি চালিত যানবাহনের লাইসেন্স প্রদানের দাবি জানান।

 

শেয়ার করুন