ডেস্ক রিপোর্ট
২৬ এপ্রিল ২০২৫, ৯:২৫ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক : নিজস্ব সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ডের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্তকে দেশবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং এর বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি জানিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
আজ শনিবার নগরীর নিউ মার্কেট মোড়ে দোস্ত বিল্ডিংস্থ দলীয় কার্যালয়ে এক সভা থেকে এ কথা জানান
চট্টগ্রাম জেলা শাখার ইনচার্জ আল কাদেরী জয়। তিনি বলেন, ” এ বন্দর শুধু চট্টগ্রাম নয়, বরং পুরো দেশেরই আমদানি- রপ্তানির প্রধান জায়গা। বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ আমলে বন্দরের এই টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো।কিন্তু এতবড় গণভ্যুত্থানের পর সেই একই সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় দেশের টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে। অথচ জনগণের টাকায় এই জেটি নির্মাণ করা হয়েছিল, যন্ত্রপাতিও কেনা হয়েছে দেশের টাকায়।এমনকি বন্দরের সবচেয়ে বেশি আয়ও হচ্ছে এই টার্মিনাল থেকে। অথচ প্রতিযোগিতা ও মান উন্নয়নের কথা বলে সবচেয়ে বড় টার্মিনালটিই বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেয়ার পাঁয়তারা হচ্ছে।তাই বিদেশি কোম্পানির হাতে এই টার্মিনাল তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত একটা দেশবিরোধী সিদ্ধান্ত। কোনো দেশপ্রেমিক ও জনগণের স্বার্থ রক্ষাকারী সরকার কিংবা কর্তৃপক্ষ এই ধরনের কাজ করতে পারে না।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ” বার্ষিক ১০ লাখ একক কনটেইনার ওঠানো-নামানোর কথা থাকলেও গত বছর এই টার্মিনালে ১২ লাখ ৮১ হাজার কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং করা হয়েছে,যা সক্ষমতার চেয়েও বেশি। অথচ এই বিদেশি অপারেটারের হাতে তুলে দেয়ার মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত হওয়া, দেশীয় অপারেটরদের লোকসান এবং নিজস্ব সক্ষমতা নষ্ট করে বিদেশি কোম্পানির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বার আশংকা তৈরি হয়। উপরন্তু চট্টগ্রাম বন্দর আমাদের দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর স্থাপনা। এর পাশেই রয়েছে বিমান ও নৌবাহিনীর ঘাঁটি এবং এরসাথে শুধু বাণিজ্যিক লেনদেন নয়, একইসাথে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের বিষয়টাও অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ফলে এই জায়গায় যেকোনো ধরনের বিদেশি প্রভাব কিংবা কর্মকান্ড দেশের নিরাপত্তাজনিত বিষয়ের উপরই হুমকিস্বরূপ। তাই সরকারের উচিত এই ধরনের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা,নয়তো তা হবে জুলাই গণআন্দোলনের চেতনার সাথে সাংর্ঘষিক অবস্থান, যা দেশের মানুষ কোনোভাবেই মেনে নেবে না।”
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন নুরুল হুদা নিপু,আহমদ জসীম, জোবায়ের বীনা, আকরাম হোসেন, হেলাল উদ্দিন কবিরসহ অন্যান্য জেলা নেতৃবৃন্দ।