ডেস্ক রিপোর্ট
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮:০২ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক : ছাত্র রাজনীতি বন্ধের চক্রান্ত রুখে দাঁড়ানোর আহবান সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ৪ দশকের সমাবেশে।
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারী সকাল ১১টায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠার চার দশক উপলক্ষে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্য পাদদেশে ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন চার দশক উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কমরেড নিখিল দাস। সভায় বক্তব্য রাখেন ডাকসুর সাবেক সদস্য ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক জোবাইদা নাসরিন; বাসদের সহকারি সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সহসভাপতি সুস্মিতা মরিয়ম, সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সুহাইল আহমেদ শুভ। সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সভাপতি ও চার দশক উদযাপন কমিটর সদস্য সচীব মুক্তা বাড়ৈ।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সকল শিক্ষা কমিশনই শিক্ষার বাণিজ্যিক ধারাকে প্রসারিত করছে। বর্তমানেও দেশের প্রায় ৮৫ ভাগই বেসরকারি ধারায় পরিচালিত হচ্ছে।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সকল শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন বারে বারে ছাত্র- জনতা জীবন দিয়েছে সাম্যের আকাঙ্খা নিয়ে। কিন্তু শাসকগোষ্ঠী বারে বারেই সেই আকাঙ্খার বিপরীতে দেশ পরিচালনা করেছে। এইবারেও শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী চেতনা নিয়ে জীবন দিয়েছে। বৈষম্য বিলোপ করতে হলে পুজিবাদী আর্থসামাজিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সচেতন সংগ্রাম পরিচালনা করতে হবে। অভুতপূর্ব এই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে সময়ে আমরা দেখছি ছাত্র রাজনীতির উপর আক্রমণ আসছে। এখনও পর্যন্ত ৩৪ টি বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ রয়েছে।সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত অর্থনৈতিক পুর্নগঠন টাস্কফোর্স প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের সুপারিশ করেছে। যা ‘২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
বক্তারা বলেন, সম্প্রতি এনসিটিবি মৌলবাদী গোষ্ঠীর ভয়ে ভীত হয়ে আদীবাসী শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাতিল করেছে। যা শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ। ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে এখনও পর্যন্ত যতটুকু শিক্ষার পরিবর্তন সাধিত হয়েছে তার অধিকাংশই মব পরিচালনার মাধ্যমে হয়েছে। যা বর্তমান সরকারের দুর্বলতারই বহিঃপ্রকাশ। শুধু তাই নয় মব সন্ত্রাসের মধ্যমে দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের উপরও আক্রমণ হচ্ছে যেখানে সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছে না। যা জনমনে ভয়,আশঙ্কা ও হতাশার জন্ম দিচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ শিক্ষা বৈষম্য দূর করে সবার জন্য অবৈতনিক একই ধারার শিক্ষা চালু করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।