ডেস্ক রিপোর্ট
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১১ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন আজ সংবাদপত্রে প্রচারের জন্য প্রেরিত এক যুক্ত বিবৃতিতে টাস্কফোর্সের সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের সুপারিশের নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণ-সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে টাস্কফোর্সের প্রধান এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক ড. কে এ এস মুর্শিদ বলেন “মারধর ও অর্থনৈতিক দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে ছাত্র রাজনীতির কারণে যা কাম্য নয়। তাই সরকারি ও বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।” কার্যকারণ সম্পর্কিত কোনো পর্যালোচনা না করেই তিনি মাথা ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলার পরামর্শটাই দিয়েছেন। কোন্ রাজনৈতিক মতাদর্শ ধারণ বা সংগঠনের সাথে যুক্ততার কারণে মারধর ও আর্থিক দুর্নীতির মতো ঘটনাগুলি ঘটছে সেই আলোচনা ব্যতিরেকে এই সমস্ত ঘটনার দায় সমগ্র ছাত্র রাজনীতির উপর চাপিয়ে দেয়া ঘৃন্য অপকৌশল ব্যতীত ভিন্ন কিছু নয়। বিগত দিনে বিভিন্ন সময়েও শাসকরা ছাত্র রাজনীতি বন্ধের চক্রান্ত করলেও ছাত্র সমাজের প্রতিরোধের মুখে তা সফল হয়নি। ভাষা আন্দোলন,শিক্ষা আন্দোলন, ‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধসহ ঐতিহাসিক বিভিন্ন গণ আন্দোলন এবং এবারের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনেও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনসহ সাধারণ ছাত্ররা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। সর্বোপরি রাজনৈতিক এই আন্দোলনে ছাত্রদের এই অংশগ্রহণই কি শাসকদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে? কারণ শাসকদের সকল অন্যায় জুলুমের বিরুদ্ধে ছাত্ররাই সর্বকালে প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।
ফলে আমরা টাস্কফোর্সের ছাত্র স্বার্থ ও গণবিরোধী এই সুপারিশকে প্রত্যাখ্যান করছি। এবং অগণতান্ত্রিক কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হলে ছাত্রসমাজ তা মেনে নিবে না। নেতৃবৃন্দ ছাত্র রাজনীতি বন্ধের যে কোন চক্রান্ত ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিরোধের জন্য ছাত্র সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বরিশালে সরকারি ব্রজমোহন কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন নেতাদের উপর হামলা, হেনস্তা ও হল থেকে থেকে বিতাড়নের ঘটনা ন্যক্কারজনক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রদানকৃত মন্তব্যের জেরে হলে মব তৈরি করে এই কাজ সংঘটিত করেছে সন্ত্রাসীরা। সারাদেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসেও একই ধরনের অগণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করছে। অবিলম্বে এই ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে এবং সারাদেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।