ডেস্ক রিপোর্ট
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৭ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: শতাধিক পণ্যে কর,শুল্ক আরোপ প্রত্যাহার, দ্রব্যমূল্য কমানো,রেশনিং চালু, জাতিগত ও ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা এবং যৌক্তিক সংস্কার করে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা শাখার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বিকেল ৪ টায় নগরীর সিনেমা প্যালেস চত্বরে আয়োজিত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা শাখার সমন্বয়ক ও বাসদ ইনচার্জ আল কাদেরী জয়।বক্তব্য রাখেন সিপিবি চট্টগ্রাম জেলা শাখার সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কমরেড উত্তম চৌধুরী, বাসদ( মার্ক্সবাদী) চট্টগ্রাম জেলা শাখার সমন্বয়ক শফিউদ্দিন কবির আবিদসহ অন্যান্য জেলা নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার সদস্য আহমদ জসীম।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ” অন্তবর্তীকালীন সরকারের একের পর এক সিদ্ধান্ত দেখে জনগণের মধ্যে আজ গণভ্যুত্থান নিয়ে হতাশা ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। মাফিয়া,সিন্ডিকেট ও লুটপাটকারীদের গ্রেফতার ও বিচার না করে বরং বিভিন্নভাবে তাদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। পাচার কৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে এনে কর্মসংস্থানসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকান্ড গতিশীল করার চেয়েও জনগণের উপর করের বোঝা চাপানো হচ্ছে। ফলে অতীতের সরকারের মতোই বর্তমানে ধনী-গরিব বৈষম্য বৃদ্ধি, বেকারত্ব সমস্যা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং নানা অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হচ্ছে। এরসাথে যুক্ত হয়েছে সরকারের ভেতর ও বাইরে নানান সাম্প্রদায়িক শক্তির আস্ফালন। মন্দির এবং মাজারে হামলার সাথে জড়িতদের শাস্তি হওয়া দূরে থাক বরং নারী ফুটবলারদের খেলা বন্ধ করে ভাঙচুর দেশের গণতান্ত্রিক শাসনকাঠামো নির্মাণের জন্য পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।
বক্তারা বলেন, সম্প্রতি যুবদলের নেতাকে সেনাবাহিনী কর্তৃক অপহরণ এবং মৃত্যু বিচারবহির্ভূত হত্যার পুরাতন সংস্কৃতিরই পদধ্বনি মাত্র, যা গণভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থি। গণভ্যুত্থানের চেতনার সাথে সাংর্ঘষিক এই ধরনের কাজ যত হবে তত বেশি মানুষ আন্দোলন থেকে দূরে সরে যাবে এবং ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের শক্তি সংহত করার সুযোগ তৈরি করে দিবে। মৌলবাদী শক্তির সাথে আঁতাত, সরকারের আনুকুল্যে কিংস পার্টি সৃষ্টির ইঙ্গিত সরকারের গ্রহনযোগ্যতা ও নিরপেক্ষ অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এমতাবস্থায় সরকারের উচিত কোনো রকমের ধোঁয়াশা এবং অস্বচ্ছ কোনো পরিবেশ সৃষ্টি না করে যৌক্তিক সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে গণতান্ত্রিক পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।”