ডেস্ক রিপোর্ট

১২ জানুয়ারি ২০২৫, ৪:৫১ অপরাহ্ণ

৩৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা অগণতান্ত্রিক ও অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী

আপডেট টাইম : জানুয়ারি ১২, ২০২৫ ৪:৫১ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস, ছাত্র রাজনীতি ও ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে ছাত্র ফ্রন্টের সংবাদ সম্মেলন

অধিকার ডেস্ক : সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ বলেছেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম ক্যাম্পাসগুলি থেকে দখলদারিত্বের অবসান হবে এবং বিরোধী দল-মত দমনের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে সৃষ্ট বন্ধ্যাত্ব ভেঙে তৈরি হবে গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল চিন্তার প্রচার-প্রকাশের অবাধ পরিবেশ। অথচ আমরা বিস্ময়ের সাথে দেখলাম ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের দায় ছাত্ররাজনীতির উপর চাপিয়ে ৩৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তার মধ্যে ১৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ৪টি সরকারি কলেজ ও ১০টি সরকারি মেডিকেল কলেজ। এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক ও অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী।

আজ ১২ জানুয়ারি ২০২৫ বেলা ১২.৩০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে্এই কথা বলেন। ।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সুস্মিতা মরিয়ম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুহাইল আহম্মেদ শুভ, দপ্তর সম্পাদক অনিক কুমার দাস, অর্থ সম্পাদক সুলতানা আক্তার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচীব অদিতি ইসলাম।

নিম্মে সংবাদ সম্মেলনরে পুরো লিখিত বক্তব্য: –
ছাত্র-শ্রমিক-জনতার এক ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর পাঁচ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের মুখে ক্যাম্পাসগুলিতে এই কয়েক মাসে তৈরি হয়েছে নতুন পরিস্থিতি, নতুন সংকট৷ ফলে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দেশের সর্বস্তরের ছাত্রসমাজের কাছে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরার জন্য আজকের এই সংবাদ সম্মেলন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের একটি পর্যায়ে ছাত্রসমাজের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ সারাদেশের সমস্ত ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত হয়েছে। ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসগুলোতে যে একচ্ছত্র আধিপত্য, দখলদারিত্ব ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলো তার বিরুদ্ধে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টসহ অপরাপর প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনসমূহ কখনো ছাত্রসংগঠনগুলোর জোট আকারে কখনো সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাথে ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে অব্যাহত লড়াই জারি রেখেছিল। সন্ত্রাস-দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক এই লড়াই-ই ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের বীজ বপন করেছিল। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাসগুলি থেকে দখলদারিত্বের অবসান হবে এবং বিরোধী দল-মত দমনের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে সৃষ্ট বন্ধ্যাত্ব ভেঙে তৈরি হবে গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল চিন্তার প্রচার-প্রকাশের অবাধ পরিবেশ। অথচ আমরা বিস্ময়ের সাথে দেখলাম ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের দায় ছাত্ররাজনীতির উপর চাপিয়ে ৩৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তার মধ্যে ১৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ৪টি সরকারি কলেজ ও ১০টি সরকারি মেডিকেল কলেজ। এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক ও অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী। দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ক্যাম্পাসগুলিতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস-দখলদারিত্বের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে শিক্ষা ও গণমানুষের সংকট নিরসনের দাবি- দাওয়া নিয়ে যতটুকু মাত্রায় প্রচার-প্রচারণা, সংগঠিত হওয়া ও আন্দোলনের পরিস্থিতি ছিল, এই ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণার মধ্য দিয়ে ওই সকল ক্যাম্পাসে তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়া হলো। ফলে মত প্রকাশ, সংগঠন করার স্বাধীনতা প্রাপ্তির জন্য সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে গড়ে উঠা ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের চেতনা ও আকাঙ্খার সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক জায়গা তৈরি করেছে এই সিদ্ধান্ত। একই সাথে ক্যাম্পাসগুলোতে একটা মবের রাজত্ব তৈরি করার অপপ্রয়াসও দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ভিন্নমতকে নানা রকমের ট্যাগিং দিয়ে একটা ঘোলাটে পরিবেশ সৃষ্টি করারও অপতৎপরতা চালাচ্ছে। অনলাইনে এবং অফলাইনে নানা রকমের কুৎসা রটিয়ে এই গোষ্ঠী ক্যাম্পাসের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে বিঘ্নিত করছে।

জুলাই আন্দোলনকালে ১৫ এবং ১৬ জুলাই যে নৃশংস হামলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত হয় যাতে শত শত শিক্ষার্থী আহত হয়। সেই হামলার বিচার করার ব্যাপারেও এখনও কোন জোর তৎপরতা দৃশ্যমান হচ্ছে না। হামলার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত অনেকেই বিভিন্নভাবে পুনর্বাসিত হচ্ছে।

বন্ধুগণ,

এহেন পরিস্থিতিতে ডাকসুসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এদেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ডাকসুসহ সারাদেশের ছাত্রসংসদগুলির নেতৃত্বদানকারী ভূমিকা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ তৈরিতেও রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা৷ দীর্ঘসময় সারাদেশের ছাত্র সংসদের অনুপস্থিতির বিপরীতে নির্বাচন কার্যকর করার দাবিতে আমরা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট অপরাপর প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালনা করেছি। আন্দোলনের মুখে ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করতে বাধ্য হয়। আমরা সেই সময়ই বলেছিলাম হলগুলিতে সহাবস্থান নিশ্চিত না করে, গণতান্ত্রিক পরিবেশ নির্মাণ ব্যতিরেকে নির্বাচন আয়োজন করলে সেই ডাকসু শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থকে প্রতিনিধিত্ব করবে না বরং তা হবে নিপীড়নের নতুন হাতিয়ার। আমাদের অনুমানকে সত্য প্রমাণিত করে প্রশাসনের যোগসাজশে নজিরবিহীন ভোট কারচুপির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ। তার প্রতিবাদে ছাত্রলীগ ব্যতীত সবকটি প্যানেলের পক্ষ থেকে নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। আজকে অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে ছাত্র সংসদ কার্যকর করা অতীব জরুরি বিষয় বটে তবে তার জন্য প্রয়োজন গণতান্ত্রিক পরিবেশ। কিন্তু আমরা মনে করি প্রয়োজনীয় গণতান্ত্রিক পরিবেশের বহুলাংশেই ঘাটতি রয়েছে। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের পাঁয়তারার অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকটি হলে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করে হল প্রশাসনগুলি নোটিশ জারি করেছিল। এর মধ্য দিয়ে হলগুলিতে শিক্ষার্থীদের কাছে রাজনৈতিক-আদর্শিক বক্তব্য প্রচার-প্রচারণার পথকে রুদ্ধ করে দেয়া হয়। এই পরিস্থিতি এখনও বলবৎ রয়েছে। আমরা মনেকরি শিক্ষাঙ্গনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ, সকল গণতান্ত্রিক শক্তির শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও অবাধ প্রচার-প্রচারণার অধিকার ব্যতীত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান কার্যকর কোনো ফল বয়ে আনবে না। এর পাশাপাশি ডাকসু গঠনতন্ত্রেরও যৌক্তিক সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসু ও হল সংসদ গঠনতন্ত্র সংশোধন/পরিমার্জনের বিষয়ে কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের নিকট সংস্কার প্রস্তাব আহ্বান করেছিল। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের পক্ষ থেকে ডাকসু ও হল সংসদের ভোটার, প্রার্থী ও সদস্যত্ব বিষয়ক ধারায় অনার্স ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ও বয়সের মতো অযৌক্তিক শর্ত বাতিল করা এবং বিভিন্ন ধারায় সংসদের সভাপতির একচ্ছত্র হস্তক্ষেপের অগণতান্ত্রিক উপাদানসমূহ বাতিল করাসহ বেশ কয়েকটি সংস্কার প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে৷ আমরা মনে করি গঠনতন্ত্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও হল-ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নির্মাণ ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের পূর্বশর্ত। আবার জুলাই আন্দোলনে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত এবং বিচার করা ছাড়াও ডাকসু নির্বাচনকে অর্থবহ করা কঠিন হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের প্ল্যাটফর্ম পরিবেশ পরিষদের মাধ্যমে গৃহীত সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন গণহত্যাকারী শক্তি, সাম্প্রদায়িক ও স্বৈরাচারি শক্তির দোসর অবাঞ্চিত থাকবে তা আমলে নিয়ে এসকল শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।

সাংবাদিক বন্ধুগণ,

খুব সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গৃহীত যানবাহন ও জনসাধারণের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে। ক্যাম্পাস এলাকায় ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করা, যানবাহনের গতি মনিটরিং করা ছিল শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি। রাষ্ট্রের সার্বিক পরিকল্পনা ও আয়োজনের ঘাটতি-ত্রুটি আড়ালে রেখে সব ধরনের যানবাহন চলাচলের উপর এবং জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার এই চটকদারি সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও জনগণকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।

আমরা মনেকরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে জনগণের সম্পর্ক যতো বেশি নিবিড় হয়, ততো বেশি তরান্বিত হয় সমাজ প্রগতি। জ্ঞান সৃষ্টি ও শাসকশ্রেণির নীতিকে প্রশ্ন করার যে সামাজিক দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর অর্পিত থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেই ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেনি দীর্ঘ সময়। দীর্ঘ আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসনামলে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস জনসাধারণকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে মনস্তাত্ত্বিকভাবে একাত্ম হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আজকে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে জনগণের সম্পর্ক আরও বেশি নিবিড়, পারস্পরিক দায় সম্পন্ন হবে এটি ছিল কাম্য। অথচ ঠিক উল্টো চিত্রই আমরা দেখতে পাচ্ছি। নিরাপত্তার নামে বিশ্ববিদ্যালয় ও জনগণকে পাল্টাপাল্টি জায়গায় দাঁড় করিয়ে দেয়ার এই প্রক্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে সামাজিক দায়হীন অথর্ব একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে জিইয়ে রাখার পক্ষেই সহায়ক হবে। ফলে অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ চরিত্রের সাথে সাংঘর্ষিক এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানাই আমরা।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমরা নিন্মোক্ত দাবিসমূহ পেশ করছি-

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসমূহসহ সারাদেশের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।

২. হল-ক্যাম্পাসে সকল গণতান্ত্রিক ছাত্রসংগঠনের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, রাজনৈতিক-আদর্শিক বক্তব্য প্রচার ও প্রকাশের অবাধ পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

৩. গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস নির্মাণ পূর্বক ডাকসুসহ সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

৪. জুলাই আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার কার্য সম্পন্ন করতে হবে।

 

শেয়ার করুন