ডেস্ক রিপোর্ট

৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:৪১ অপরাহ্ণ

রোকেয়া দিবসে রংপুরে নারীমুক্তি কেন্দ্রের সমাবেশ-মিছিল

আপডেট টাইম : ডিসেম্বর ৯, ২০২৪ ৮:৪১ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

অধিকার ডেস্ক: মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়ার ১৪৪তম জন্ম এবং ৯২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র রংপুর জেলার উদ্যোগে ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ সোমবার মিছিল, সমাবেশ ও রোকেয়ার ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

রংপুর প্রেসক্লাব চত্তরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সংগঠনের জেলা সংগঠক আলো বেগমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাসদ(মার্কসবাদী), রংপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলু, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট কামরুন্নাহার খানম শিখা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট রংপুর জেলার আহ্বায়ক সাজু বাসফোর প্রমূখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন এদেশের শিল্প,কৃষিসহ সকল ক্ষেত্রে নারীর অবদান অনস্বীকার্য।কিন্তু কোথাও নারীদেরকে সমকাজে সমমজুরী দেয়া হয়না। ৫২’র ভাষা আন্দোলন,৭১এর মুক্তিযুদ্ধ,২৪ এর ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইসহ সকল সংগ্রামে নারীরা পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই সংগ্রাম করেছে।নারীদের অংশগ্রহণ ছাড়া ২৪এর গণঅভ্যুত্থান সম্ভব হতো না।পুলিশ এবং ছাত্রলীগ,যুবলীগের আক্রমণের মুখে যখন পুরুষরা দাঁড়াতে পারছিলো না তখন নারীরাই ঢাল হয়ে সামনে দাঁড়িয়েছিল। অথচ বৈষম্যবিরোধী লড়াইয়ের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকার উচ্ছেদের পর পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র এই সংগ্রামে নারীদের ভূমিকাকে আঁড়াল করতে চায়।।এছাড়া এই সমাজে কর্মক্ষেত্রে,ঘরে বাইরে সর্বত্র নারীরা নির্যাতন, লাঞ্চনার শিকার হচ্ছে।আজকের তথাকথিত সভ্যসমাজে একদিকে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা নাটক, সিনেমা,বিজ্ঞাপনে নারীদেহের অশ্লীল উপস্থাপনের মাধ্যমে নারীদের পণ্য বানাচ্ছে।অন্যদিকে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার সমর্থক মৌলবাদীরা ধর্মের নামে ফতোয়া দিয়ে নারীদেরকে অবরুদ্ধ করে অন্ধকার যুগ ফিরিয়ে আনতে চায়। ফলে আজ থেকে শতবর্ষ পূর্বে মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়া নারীমুক্তির যে স্বপ্ন দেখেছিলেন,যে স্বপ্ন বাস্তবায়নে মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত সংগ্রাম করেছেন, মৃত্যুর ৯২ বছর পরও তা অপূরিতই থেকে গেছে।অনেক আত্মত্যাগের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার যে আকাঙ্খা তৈরি হয়েছে রোকেয়ার চেতনাকে ধারণ করে নারী পুরুষের বৈষম্যও সমাজ থেকে দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে।

সমাবেশ শেষে র্যালি করে রোকেয়া কলেজ সংলগ্ন বেগম রোকেয়ার ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করা হয়।

শেয়ার করুন