অধিকার ডেস্ক: বহুতল ভবন নির্মাণ করে ভূমিহীনদের পুনর্বাসন, প্রত্যেক গরীব পরিবারের জন্য আর্মি-পুলিশের রেটে রেশন ও চাল,ডাল,তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে ২ ডিসেম্বর ২০২৪ সোমবার সকাল ১১ টায় রংপুরে ভূমিহীন ও গৃহহীন সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল -সমাবেশ ও স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

নগরীতে সহস্রাধিক ভূমিহীনের মিছিল শেষে কাচারীবাজারে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের প্রধান সংগঠক আনোয়ার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠক আহসানুল আরেফিন তিতু, খুরশীদ আলম মুন্না,বিউটি সুলতানা প্রমূখ।নেতৃবৃন্দ বলেন রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাসকারী ভূমিহীন, গৃহহীন ছিন্নমূল জনগণ রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণ করে ভূমিহীনদের পুনর্বাসন,আর্মি-পুলিশের রেটে রেশন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে বিগত সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে আবেদন জানিয়েছি।তারপরও উল্লেখিত দাবিতে রংপুর জেলা প্রশাসকের নিকট অসংখ্যবার স্মারকলিপি দেওয়া হয়।শুধু আশ্বাস ছাড়া দাবি বাস্তবায়নে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় নাই।রংপুর শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার হাজার হাজার ভূমিহীন ছিন্নমূল জনগণন বিভিন্ন কাজে গতর খাটিয়ে কোনরকমে বেঁচে আছে। এমনিতে তাদের আয় নিম্নতর তার উপর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য আকাশছোঁয়া।ফলে দৈনিক মজুরীর উপার্জন দিয়ে আজ বেঁচে থাকা দায়।তাছাগা যেসকল স্থানে ভূমিহীন ছিন্নমূলরা বসবাস করে সে আশ্রয়টুকু খুব শীঘ্রই হারাবার সম্ভাবনা আছে।ফলে প্রায় সময় এদের ঠিকানা পরিবর্তন হচ্ছে।এসব ঠিকানাবিহীন ভূমিহীন জনগণের পুনর্বাসনসহ উল্লেখিত দাবি জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় যেসকল খাসজমি আছে সেসকল জমিতে পুনর্বাসনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু বিগত সরকারের জেলা প্রশাসক “খাসজমি ভূমিহীনদের দেয়া যাবে না অথচ ঐসকল খাসজমি বিত্তবানরা অবৈধভাবে দখলভোগ করছে।আমরা ভূমিহীন সংগঠনের পক্ষ থেকে ঐসকল খাসজমির তফশীল তৎকালীন জেলা প্রশাসকের নিকট দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
তাই আমরা বৈষম্যহীন প্রশাসনের নিকট নিম্নের দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাচ্ছি।

দাবিসমূহঃ
১.রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকার মধ্যে বহুতল ভবন নির্মাণ করে ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের প্রকল্প জরুরী ভিত্তিতে গ্রহণ কর।

২.চাল,ডাল,তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে হবে।

৩.প্রত্যেক ভূমিহীন, গৃহহীন ছিন্নমূল পরিবারকে আর্মি -পুলিশের রেটে রেশন দাও।

সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসক এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ভূমি উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়।