ডেস্ক রিপোর্ট
২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৭ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক; রিকশা, ব্যাটারী রিকশা-ভ্যান ও ইজি বাইক সংগ্রাম পরিষদ, চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে অবিলম্বে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের নীতিমালা, লাইসেন্স ও আধুনিকায়নের দাবিতে আলোচনা সভা ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা বরাবর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম এর মাধ্যমে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। এর পূর্বে নগরীর টাইগার পাস মোড়ে জমায়েত ও মিছিলের প্রস্তুতি থাকলেও পুলিশ প্রশাসনের বাধার কারণে তা স্থগিত করা হয় এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে এর নিন্দা জানিয়ে সংগঠন কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এই সভা ও স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের জেলা আহ্বায়ক আল কাদেরী জয়, সদস্য সচিব মনির হোসেন, হেলাল উদ্দিন কবির, আকরাম হোসেন, নুরুল হুদা নিপু, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মোহাম্মদ দিদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, সারা দেশে প্রায় ৫০ লাখ চালক পরিবার ব্যাটারি চালিত থ্রি হুইলার ও সমজাতীয় যানবাহনের উপর প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল। এইসব যানবাহন তৈরি, মেরামত, খুচরা যন্ত্রাংশ নির্মাণ, বিক্রি, চার্জিং সহ নানা ধরনের কাজে অসংখ্য মানুষের জীবন ও জীবিকা নির্ভরশীল। দেশের সকল জেলা ও বিভাগে নগর পরিবহণ নেই ফলে কোটি কোটি মানুষ ব্যাটারি চালিত যানবাহন ব্যবহার করে থাকে। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি এইসব বাহন বিদ্যুতে চলে বলে পরিবেশ দূষণ কম করে। বিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণে এদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ চুরি এবং অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের অভিযোগ করা হয়। অথচ এইসব বাহন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, চালকেরা বিদ্যুৎ চুরি করে না বরং বর্ধিত দামে (প্রায় ২৫ টাকা ইউনিট) বিদ্যুৎ কিনে থাকে। তাই কর্মসংস্থান, জীবিকা, যাতায়াত এবং দেশের অর্থনীতির বিকাশের কথা বিবেচনা করলে এই খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু প্রয়োজন দুর্নীতিমুক্ত সঠিক ব্যবস্থাপনা। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীতে এই ইজিবাইক ও ব্যাটারি রিকশার চালকদের প্রশাসনিক ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষার অজুহাতে কোথাও কোথাও হয়রানির শিকারও হতে হচ্ছে। নগরীতে এসব গাড়ি জব্দ করে ২১ দিন ( পরবর্তীতে ১১ দিন) পর্যন্ত আটকে রাখার বিধান করা হয়েছে।এতে এসব বাহনের ব্যাটারি বিকল হয়ে পড়া ও দীর্ঘদিন কর্মসংস্থানের অভাবে দারিদ্র্যতার কষাঘাতে জর্জরিত হতে হচ্ছে। ফলে গরীব ও অসহায় এসব মানুষের ব্যাটারিচালিত গাড়ি ও জীবন-জীবিকা হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। এই সুযোগে এই শ্রমজীবী মানুষরা আবারও এক অসাধু চক্র ও প্রশাসনিক কর্মচারীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। ছাত্র শ্রমিক জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশে এখন এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়েছে। এই নতুন পরিস্থিতিতে এই খাতের উন্নতি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে তা আমরা প্রত্যাশা করি।
সভায় চট্টগ্রাম নগরীতে ইজিবাইক ও ব্যাটারি রিকশা জব্দ করে হয়রানি ও মামলা বন্ধ করবার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানানো হয়।