ডেস্ক রিপোর্ট

১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪:৩৮ অপরাহ্ণ

দখলদারিত্ব, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজির বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি বাম জোটের

আপডেট টাইম : সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪ ৪:৩৮ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

অধিকার ডেস্ক: বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সিপিবির সভাপতি মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, গণতাািন্ত্রক বিপ্লবী পার্টি সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক পার্টি নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী আজ ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সংবাদপত্রে দেয়া এক বিবৃতিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে দখলদারিত্ব, সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান ও দখলদারিত্ব বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে দেশবাসী আশা করলেও তার উল্লেখযোগ্য প্রতিফলন এখনো দৃশ্যমান হচ্ছে না।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে যে এই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কোন বিশেষ দল বা গোষ্ঠী বিজয়ী হয়নি। ছাত্র জনতার রক্তস্নাত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিজয়ে দেশবাসী আশা করেছিল যে, ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও অতীত দিনের মতো দখলদারিত্ব,চাঁদাবাজ বন্ধ হবে ।এটি হয়নি। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথাযথ উন্নতি এখনও পর্যন্ত হয়নি। দেশের বিভিন্ন স্থানে পাল্টা দখলদারিত্ব, নীরব চাঁদাবাজি, হুমকি ধামকি চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

বিভিন্ন স্থানে দখলদারিত্ব, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় সৃষ্ট সংকটে ক্ষিপ্রতার সাথে সমস্যা সমাধানের দৃশ্যমান উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। বিবৃতিতে সারাদেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনাসহ এসময়ে ও অতীতে যেসব দখলদারিত্ব কায়েম হয়েছে তার অবসান ঘটাতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান হয়েছে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদেরকে জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করার ঘটনায়ও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে যদি কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ থাকে তাহলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অর্থাৎ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসনের কাছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি/ আবেদন করার অনুরোধ জানানো হয়।

বিবৃতিতে গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজে সংগঠিত ঘটনার জেরে আজ থেকে সারাদেশে চিকিৎসকদের কমপ্লিট সাট ডাউন কর্মসূচি ঘোষণা ও আজ আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে কারখানা ভাংচুরসহ নৈরাজ্যকর ঘটনা যা ঘটে চলেছে তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করার সুগভীর চক্রান্ত বলে উল্লেখ করে অবিলম্বে শুরুতে এহেন চক্রান্ত ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং চিকিৎসকদের ও শিল্পের নিরাপত্তা নিশ্তি করার দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির লাগাম এখনও পর্যন্ত টেনে ধরতে না পারায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, একদিকে দেশের এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বন্যায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এবং দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতিতে নিম্ন আয়ের মানুষহ সাধারণ জনগণ বিশেহারা। বিবৃতিতে অবিলম্বে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।

শেয়ার করুন