ডেস্ক রিপোর্ট
২২ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪৬ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে আজ চট্টগ্রাম নিউ মার্কেট এলাকায় সমাবেশ ও বন্যা দূর্গতদের জন্য ত্রাণ তহবিল সংগ্রহ করা হয়। এই সময় উপস্থিত ছিলেন বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার ইনচার্জ আল কাদেরী জয়, সদস্য মহিন উদ্দিন, আকরাম হোসেন, নাজিম উদ্দীন বাপ্পী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট চট্টগ্রাম নগর শাখার সভাপতি মিরাজ উদ্দিন, উম্মে হাবিবা শ্রাবণী, ইমতিয়াজ আহমেদ লোচনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতে নদ-নদীর পানি বাড়ছিল তার উপর উজানে ভারত মহুরী নদীর কলসী বাঁধ এবং গোমতি নদীর ডম্বুর বাঁধ পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই খুলে দেয়ায় প্রবল স্রোতে ঘরবাড়ি, গবাদী পশু ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ায় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে। ১০/১২ ফুট উঁচু হয়ে শহর এবং হাজার হাজার একর ফসলের মাঠসহ অধিকাংশ জায়গা প্লাবিত হওয়ায় মানুষজন বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েও নিরাপদ বোধ করছে না।আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী উজানের কোন দেশ নদীর উপর দেয়া বাঁধের গেট খুলে দেয়ার ৭২ ঘণ্টা পূর্বে ভাটির দেশকে জানানোর কথা কিন্তু এবারে পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই ডম্বুর ও কলসী বাঁধ খুলে দিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করেছে। কিন্তু আশ্চার্যের বিষয় যৌথ নদী কমিশনের বাংলাদেশের সদস্যরা এখনও পর্যন্ত ভারতের কাছে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ জানিয়েছে বলে শোনা যায়নি। এর মধ্যদিয়ে বিগত সরকারের মত অন্তর্বর্তী সরকারও সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী ভারত সরকারের প্রতি নতজানু নীতি নিয়ে চলছে কিনা তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে।
বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক নদী আইন লংঘন করে ভারত থেকে আসা ৫৪টি নদীর উপর বাঁধ দিয়ে একতরফা পানি প্রত্যাহার করছে। ফলে শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে যেমন বঞ্চিত হয়ে মরুকরণের ঝুঁকিতে পড়ছে তেমনি বর্ষা মৌসুমে বাঁধের গেট খুলে দিয়ে আমাদেরকে ভাসিয়ে মারছে ভারত। ভারতের এই পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার দেয়ার দাবি জানাই”।
সমাবেশ পরবর্তী সময়ে নগরীর নিউ মার্কেট, হর্কাস মার্কেট, আমতল, গোলাম রসুল মার্কেট, রিয়াজুদ্দিন বাজার, স্টেশন রোডসজ বিভিন্ন জায়গায় জনগণের কাছ থেকে ত্রাণ তহবিল সংগ্রহ করা হয়।