ডেস্ক রিপোর্ট
২২ আগস্ট ২০২৪, ৬:৪২ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: টানা কয়েকদিন ধরে সিলেটে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। সঙ্গে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিলেটের সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি থাকলেও কুশিয়ারা নদীর চারটি পয়েন্টে ইতোমধ্যে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রভাবিত হচ্ছে। এ অবস্থায় আবারও বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ইতোমধ্যে সিলেট বিভাগের দুই জেলা মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তবে সিলেট জেলায় এখনো বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত সিলেটের কুশিয়ারা নদীর ৪টি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্য মতে, সকাল ৯টায় সিলেটের কুশিয়ারা নদীর জকিগঞ্জ অমলসিদ পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার, বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলায় ৬ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৭১ সেন্টিমিটার, শেরপুর পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছিল।
দুপুর ১২টায় একই নদীর পানি অমলসীদ পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে এক সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ৭২ সেন্টিমিটার ও শেরপুরে তিন সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়াও সকাল ৯টায় কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ১৪ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে ১ দশমিক ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।
আর দুপুর ১২টার তথ্য অনুযায়ী, শূন্য দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ও ১ দশমিক ০১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে সিলেট আবহাওয়া অফিস।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নদীর পানি ইতোমধ্যে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, সিলেটের কানাইঘাট পয়েন্টে যদি বিপৎসীমা অতিক্রম করে তাহলে ১০-১২ ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেহেতু আগেই এই জেলায় কয়েকবার বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। তাই পূর্বের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে। সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সার্বক্ষণিক তদারকি করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।