ডেস্ক রিপোর্ট

২১ আগস্ট ২০২৪, ১১:৩১ অপরাহ্ণ

ফ্যাসিবাদী শাসন কাঠামোর মূল উৎপাটন করার দাবি বাম জোটের

আপডেট টাইম : আগস্ট ২১, ২০২৪ ১১:৩১ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

অধিকার ডেস্ক: বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের এক সভা আজ ২১ আগস্ট ২০২৪ সেগুনবাগিচাস্থ বাসদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পডাদক কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক কমরেড মাসুদ রানা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির যুগ্ম সম্পাদক কমরেড রুবেল সিকদার ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের শামীম ইমাম।

সভার এক প্রস্তাবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ২ সপ্তাহ পরেও বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাস, দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজীর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে বিগত সরকারের দোসরেরা এবং সুযোগ সন্ধানী দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠানে, সংবাদপত্র অফিসে হামলা, ভাংচুরসহ যেসব অপরাধীমূলক কর্মকান্ড করছে তা কঠোর হস্তে দমন করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরো নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি জানিয়েছেন।

সভার প্রস্তাবে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহত-আহতদের তালিকা প্রকাশ, হত্যাকাÐে জড়িতদের চিহ্নিত করতে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন ও বিশেষ ট্রাইবুন্যাল গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে শ্লথ গতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে এসব বিষয়ে দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

সভার অপর প্রস্তাবে চালসহ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম বন্ধ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার ও সিন্ডিকেটের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

সভার এক প্রস্তাবে বলা হয়, পতিত শেখ হাসিনা সরকারের লুটপাট, দুর্নীতি, দুঃশাসনে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চরম সংকটে নিমজ্জিত। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রæত খেলাপি ঋণ উদ্ধার, পাচারের টাকা ফেরৎ আনা, অপরিকল্পিত মেগা প্রকল্প বন্ধ এবং রাষ্ট্রীয় অপচয় রোধ করার দাবি জানান। একই সাথে জ্বালানি খাতে দায়মুক্তি আইন বাতিল করে দুর্নীতি বন্ধ ও দুর্নীতি-লুণ্ঠনের সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
সভার প্রস্তাবে বলা হয়, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে কিন্তু আইন, কানুন, প্রথা-প্রতিষ্ঠানসহ রাষ্ট্র শাসন ক্ষমতার রন্ধ্রে রন্ধ্রে ফ্যাসিবাদী উপাদান এখনও ব্যাপক মাত্রায় বহাল রয়েছে। এগুলো নির্মূল করে গণতন্ত্র, সুশাসন ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কারে মনযোগ দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

সভায় সকল ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত নস্যাৎ করে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খা বাস্তবায়ন, ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার ও গণতন্ত্র ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজপথে সংগ্রাম জারী রাখতে ছাত্র-শ্রমিক-জনতাসহ সর্বস্তরের দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।

শেয়ার করুন