ডেস্ক রিপোর্ট

১৪ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৭ অপরাহ্ণ

স্পেন বনাম ইংল্যান্ড ফাইনাল: যা জানা দরকার

আপডেট টাইম : জুলাই ১৪, ২০২৪ ১১:৫৭ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

অধিকার ডেস্ক: এই ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নপে স্পেন অসাধারণ পারফরম্যান্স করছে। ফাইনালে ওঠার পথে নকআউটে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইতালি, স্বাগতিক জার্মানি ও ফেভারিট ফ্রান্সকে হারিয়েছে। এবার তাদের মিশন রেকর্ড চতুর্থ ট্রফি জেতার।

অন্যদিকে বার্লিনে পৌঁছাতে ঘাম ছুটেছে ইংল্যান্ডের। টানা চার ম্যাচ তারা নির্ধারিত ৯০ মিনিটের মধ্যে জিততে পারেনি। তবে ওলি ওয়াটকিন্সের শেষ মুহূর্তের গোলে সেমিফাইনালে তারা ২-১ গোলে হারায় নেদারল্যান্ডসকে। জুড বেলিংহ্যাম ও হ্যারি কেইনকে নিয়ে এবার ইংলিশরা স্বপ্ন দেখছে ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপের পর প্রথম ট্রফি জেতার।

দুই বছর আগে ইউরোতে ইংল্যান্ডের নারী দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, এবার তাদের পুরুষ দল প্রথমবার এই ট্রফির স্বাদ পেতে চায়।

* ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে এনিয়ে তৃতীয়বার মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড ও স্পেন। ১৯৮০ সালে গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ড জিতেছিল ২-১ গোলে, ১৯৯৬ সালের কোয়ার্টার ফাইনালে গোলশূন্য ড্রয়ের পর ৪-২ এ পেনাল্টিতে জেতে তারা।

* স্পেনের বিপক্ষে ইংল্যান্ড চারটি মেজর (বিশ্বকাপ বা ইউরো) টুর্নামেন্টের ম্যাচের তিনটিতে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছে। ১৯৮২ বিশ্বকাপ ও ১৯৯৬ ইউরোতে শেষ দুটি ম্যাচে স্কোর হয়েছিল গোলশূন্য।

* স্পেন তাদের শেষ তিনটি মেজর টুর্নামেন্টের ফাইনালেই জিতেছে। ২০০৮ ও ২০১২ ইউরো এবং ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। কোনও ইউরোপিয়ান দল কখনও চারটি ফাইনালে উঠেই সফল হতে পারেনি।

* এটা স্পেনের পঞ্চম ইউরো ফাইনাল, ১৯৬৪, ২০০৮ ও ২০১২ সালে তারা ট্রফি জিতলেও হেরে যায় ১৯৮৪ সালের ফাইনালে। প্রথম দল হিসেবে তার চারটি আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে।

* টানা দুই আসরে ইউরোতে ফাইনালে খেলছে ইংল্যান্ড। গ্যারেথ সাউথগেটের অধীনে চারবারের চেষ্টায় দুইবার মেজর টুর্নামেন্টের ফাইনালে তারা, অথচ তার দায়িত্ব নেওয়ার আগে বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে ২৩ বার অংশ নিয়ে একবার ফাইনাল খেলেছিল থ্রি লায়নরা।

* দেশের বাইরে এই প্রথমবার ইংল্যান্ড কোনও মেজর টুর্নামেন্টের ফাইনালে। ১৯৬৬ বিশ্বকাপ ও ২০২০ ইউরো ফাইনাল তারা খেলেছিল ওয়েশ্বলি স্টেডিয়ামে। ছয়বার বার্লিনে খেলে থ্রি লায়নরা কখনও ম্যাচ হারেনি, চারটি জয় ও দুটি ড্র।

* স্পেন এবারের আসরে ছয় ম্যাচ খেলে সবগুলো জিতেছে। ইউরোর এক আসরে আর কোনও দল এত বেশি ম্যাচ জেতেনি। ১৯৮০ সালে গ্রুপ পর্বের আবির্ভাবের পর কেবল ফ্রান্স ১৯৮৪ সালে (৫/৫) শতভাগ জয়ের রেকর্ড ধরে রেখে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

* স্পেন চলতি আসরে ১৩ গোল করেছে, ইউরোর এক আসরে তাদের চেয়ে বেশি গোল করেছিল কেবল ফ্রান্স। ১৯৮৪ সালে ১৪ গোল করেছিল লা ব্লুরা।

* ১৭ বছর ও এক দিন বয়সী স্পেনের লামিন ইয়ামাল দলে জায়গা পেলের রেকর্ড ভাঙবেন তিনি, হবেন মেজর টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে ১৭ বছর ২৪৯ দিন বয়সে খেলা পেলে তার শ্রেষ্ঠত্ব হারাবেন।

শেয়ার করুন