ডেস্ক রিপোর্ট
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২১ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কমেছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে এবার ভোটার আকৃষ্ট করতে কর্মসূচি গ্রহণ করছে দলটি। এরই মধ্যে কেনো ভোট দেবেন শিরোনামে প্রচারপত্র প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি। এটি ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর উদ্যোগ নিয়েছে দলটি।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভা করে দলটি। পাশাপাশি প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি প্রণীত প্রচারপত্র বিতরণ করে।
এতে প্রধান অতিথির ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি দলটির বিভিন্ন শাখা সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের হাতে এই প্রচারপত্র তুলে দেন। তারা এগুলো সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে দেবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মলণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফরউল্লাহ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচন সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন।
জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস। দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্থিতিশীল সরকার থাকায় গত ১৫ বছরে দেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছে । খুনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল বন্ধ হয়েছে। গণতন্ত্র স্থিতিশীলতা ছিল বলে এমন উন্নয়ন হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি লাগাতারভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। জনগণের ভোটাধিকার বঞ্চিত করতে নির্বাচন বিরোধী কাজ করছে তারা। তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচন বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে। সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যার সূচনা হয়। ষড়যন্ত্রের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মোস্তাক-জিয়া। বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র দেশের পাশাপাশি বিদেশেও আছে। সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচন ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি অপশক্তি ষড়যন্ত্র করছে।
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ একমাত্র দল, যে দলটি স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। তার আগে খালেদা জিয়ার অধিনে ছিল নির্বাচন কমিশন। গুন্ডা দিয়ে নির্বাচন করা হত। ভুয়া ভোটার দিয়ে ভুয়া নির্বাচন করেছেন তিনি। আওয়ামী লীগই দেশের একমাত্র দল, যেটি নির্বাচন ব্যবস্থাকে স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ করেছে।