ডেস্ক রিপোর্ট
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৯:১৪ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: শ্রমিক পক্ষের প্রস্তাবের ভিত্তিতে শ্রম আইন সংশোধন, দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো ও শ্রমজীবীদের জন্য আর্মিরেটে রেশনিং চালু, জাতীয় ন্যুনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা ও গৃহ শ্রমিক প্রীতি উড়ানের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করার দাবিতে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ৯ ফেব্রুয়ারি সমাবেশ সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যােগে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার সহ-সভাপতি আফজাল হোসেন, সহ-সম্পাদক মনির হোসেন মলিন, সদস্য তনভীর নাঈম, হাবিবুর রহমান হাবিব, শরিফুল ইসলাম দিদার। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সভাপতি প্রকৌশলী শম্পা বসু ও চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রম আইন ২০০৬ শ্রমিকদের দাবি ও বিদেশি নানা চাপে বার বার সংশোধন করা হলেও শ্রমিকদের দাবি বরাবরই উপেক্ষা করা হয়েছে। আইএলও ৮৭ ও ৯৮ পরিপন্থি শ্রম আইন, শ্রমিকের সংগা, শ্রম আইনের ২০, ২৩ (ঘ), (ছ), ২৬, ২৭, ১৮০, ধারা, ঠিকাদারি ও আউটসোর্সিং প্রথা, অবহেলাজনিত মৃত্যুতে লঘু শাস্তি ও অপর্যাপ্ত ক্ষতিপুরনসহ নানা বিষয়ে সংশোধনি ও নতুন প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কিন্তু ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ সভাকে পাশ কাটিয়ে বা সেখানকার সুপারিশ বা শ্রমিক পক্ষের সুপারিশ বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিকভাবে শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছ। দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে শ্রমজীবীসহ দেশের মানুষ দিশেহারা। কিন্ত সেদিকে সরকারের কোন খেয়াল নেই।
বাজার নিয়ন্ত্রণ ও শ্রমিকদের আর্মি রেটে রেশনের দাবি দীর্ঘদিনের। বর্তমানে তা বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই। কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের উপর নির্যাতন বিশেষ করে গৃহ শ্রমিকদের উপর নির্যাতন অনেকটা দাস যুগের মতই আছে। সম্প্রতি ঢাকার মোহাম্মদপুরে গৃহ শ্রমিক প্রীতি উরানের মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারও দাবি করেন।
নেতৃবৃন্দ শ্রম আইন সংশোধনে শ্রমিক পক্ষের প্রস্তাব গ্রহণ করে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আর্মি রেটে রশন প্রদানসহ শ্রমিকদের নিরাপত্তার দাবি মেনে নেওয়া না হলে কঠোর শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব, তোপখানা রোড, পল্টন ও সেগুনবাগিচাসহ রাজপথ প্রদক্ষিন করে সংগঠন কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।