ডেস্ক রিপোর্ট
২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: হাইকোর্টের রায়ে সোমবার প্রার্থিতা ফিরে পান বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। পরদিন দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের দপ্তরে তাঁর নির্বাচনী প্রতীক (ঈগল) বুঝে নেন কয়েকজন অনুসারী। সেখান থেকে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে খবর আসে, হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। অর্থাৎ, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না সাদিক আবদুল্লাহ।
এই খবরে সাদিকের অনুসারীরা আবারও হতাশ হয়েছেন। জানা গেছে, প্রার্থিতা ফিরে পেতে মঙ্গলবার তাঁর পক্ষে লিভ টু আপিল করা হয়েছে। তবে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
বরিশালের সাবেক মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ দলের মনোনয়ন না পেয়ে বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। ১৫ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। কিন্তু দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ তুলে তাঁর মনোনয়ন বাতিল চেয়ে ইসিতে আপিল করেন ওই আসনের নৌকার প্রার্থী পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম। শুনানি শেষে সাদিকের প্রার্থিতা বাতিল করে ইসি। এরপর হাইকোর্টে রিট করে সোমবার প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি।
সাদিকপন্থি নেতা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসাইন বলেন, আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হয়েছে। শুনানির দিন ধার্য হয়েছে বৃহস্পতিবার। সেখান থেকে সন্তোষজনক রায় না পেলে ২ জানুয়ারি পূর্ণাঙ্গ আদালত খোলার পর লিভ টু আপিল করা হবে।
এদিকে জাহিদ ফারুক শামীমের আইনজীবী আফজালুল করীম সমকালকে বলেন, লিভ টু আপিল করা হলেও সাদিকের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ পুরো ডিসেম্বর আদালতের অবকাশকালীন ছুটি। এ সময়ের জন্য চেম্বার জজই পূর্ণাঙ্গ আদালত। ২ জানুয়ারি পূর্ণাঙ্গ আদালত খুলবে। তখন লিভ টু আপিল করা যাবে। আদালত আপিল গ্রহণ করলে শুনানির জন্য দিন ধার্য করবেন। তবে নির্বাচন হবে ৭ জানুয়ারি। তার আগে দু’দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। সেই হিসাবে মাত্র দুই কর্মদিবসে (৩ ও ৪ জানুয়ারি) আদালত থেকে সিদ্ধান্ত পাওয়া অসম্ভব।
এদিকে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নগরীতে শোভাযাত্রা করে। সাদিকপন্থি সহস্রাধিক নেতাকর্মী এতে অংশ নেন। বিজয় দিবসের শোভাযাত্রা হলেও নেতাকর্মীরা ‘সাদিক ভাই’ বলে স্লোগান দেন। শোভাযাত্রায় ঈগল প্রতীকও বহন করা হয়।