ডেস্ক রিপোর্ট
২ আগস্ট ২০২৩, ১০:৫৯ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, দ্রব্যমূল্য রোধ ও দুনীর্তি—লুটপাট বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
বুধবার (০২ আগস্ট ২০২৩) বিকাল ৫টায় পল্টন মোড়ে বাম গণতান্ত্রিক জোট এর উদ্যোগে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, দ্রব্যমূল্য রোধ ও দুনীর্তি—লুটপাট বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বাম গণতান্ত্রিক জোট, কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক এবং বাসদ (মার্কসবাদী)—এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী ফোরামের সমন্বয়ক কমরেড মাসুদ রানার সভাপতিত্বে ও বাসদ (মার্কসবাদী)র নিবার্হী ফোরামের সদস্য জয়দীপ ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শামীম ইমাম, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য শহিদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, “দেশের প্রায় সকল সক্রিয় বিরোধী দলই নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্দোলন করছে এবং এই দাবি ইতিমধ্যে একটি জনদাবিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সেই দাবির প্রতি কর্ণপাত না করে বিরোধী দলের আন্দোলনকে নির্মমভাবে দমন করছে। জনগণের কাছে এটা স্পষ্ট যে, আওয়ামী লীগ পূর্বের ন্যায় এবারও একটি প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে। এটা জনগণ হতে দিতে পারেনা।”
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “এই সরকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, আওয়ামী লীগের তথাকথিত শান্তি সমাবেশ থেকে তাদের নেতারা যে ভাষায় বক্তব্য রেখেছে তাতে বোঝা যায় তারা একটি সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির দিকে দেশকে নিয়ে যেতে চাইছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার আজ দেশের যে পরিস্থিতি তৈরি করেছে নির্দলীয় তদারকি সরকার গঠন করে তার অধীনে নির্বাচন আয়োজন করা ছাড়া আর কোন দ্বিতীয় সমাধান নেই এবং তা গ্রহণযোগ্যও নয়।”
নেতৃবৃন্দ বলেন, “বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাচাঁমাল নেই, কারণ ডলার নেই। আওয়ামীলীগ শাসনামলে সীমাহীন দূর্নীতি—লুটপাট, মেগাপ্রকল্পে মেগা লুটপাট ও অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধি, অর্থ পাচার, ব্যাংক লোপাটের কারণে দেশের অর্থনীিাত আজ দুর্দশাগ্রস্ত। আজকের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ি সরকারের আমদানী নির্ভর জ্বালানি নীতি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে সীমাহীন দুর্নীতি—লুটপাট।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “সারা দেশে বাজারে আগুন জ্বলছে। সব ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া। কারণ বাজার আজ গুটিকয়েক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে। সম্প্রতি চিনি, আদা, পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নেওয়া হয়েছে। আওয়ামীলীগ সরকার সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী ও কালোবাজারীদের নিয়ন্ত্রণে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা, কারণ আজ সরকার ও সিন্ডিকেট একাকার। আবার সরকারের মন্ত্রীদের নানা বক্তব্য এই ব্যবসায়ীদের লুটপাটের ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করছে।” নেতৃবৃন্দ গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান।