ডেস্ক রিপোর্ট
১৮ জুলাই ২০২৩, ৬:১৯ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক : ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর গণঅধিকার পরিষদকে টাকা কামানোর মেশিন বানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সদস্যসচিব ও রেজা কিবরিয়াপন্থি নেতা তারেক রহমান।
তিনি বলেন, তরুণ-যুবকদের নিয়ে বাংলাদেশের গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণে আমরা গণঅধিকার পরিষদ গড়ে তুলেছিলাম। সেই দলে এখন ভাঙন। এজন্য দায়ী নুর। কারণ তিনি গণঅধিকার পরিষদকে টাকা কামানোর মেশিন বানাতে চেয়েছিলেন। তাতে দলের সৎ-মেধাবী নেতারা বাধা দেওয়ায় তিনি দলে ভাঙনের সৃষ্টি করেন।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করে ড. রেজা কিবরিয়ার অনুসারী গণঅধিকার পরিষদের একাংশ।
পদযাত্রা শুরুর আগে প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা। এ সমাবেশে বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, নুর গণঅধিকার পরিষদকে বিদেশি শক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। আর আমরা চেয়েছিলাম- বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফেরাতে। নুর ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ডা নিয়ে কাজ করেছেন। অন্যদিকে আমরা জনগণের অধিকার নিয়ে কাজ করছি।
গণঅধিকার পরিষদের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলেন, বিএনপি আজ সারাদেশে সরকার পতনে এক দফার কর্মসূচি করছে। বিরোধী সব রাজনৈতিক দল মাঠে নেমেছে। আমরা তাদের এক দফার প্রতি সমর্থন জানিয়ে যুগপৎ কর্মসূচি করছি। এ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
ফারুক হাসান আরও বলেন, আমরা দেখছি, এ সরকার ছোট ছোট দলকে মাঠে নামিয়ে দিয়েছে। তারা দিনে গরম গরম বক্তব্য দেয়, আর রাতে সরকারের সঙ্গে এক টেবিলে বসে আঁতাত করে। এরাই ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের দালাল। তাদের থেকে সাবধান। আমরা ইসরায়েল, ভারত বা অন্য কোনো দেশপন্থি দল নয়, আমরা বাংলাদেশপন্থি দল। আমরা কারও সঙ্গে আঁতাত করে ক্ষমতায় বসতে চাই না।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার দিতে হবে। আর এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। তারা এমন দুটি দলকে নিবন্ধন দিচ্ছে, যারা কোনো দিন মাঠে ছিল না। তাদের নেতা আছে কর্মী নেই। মাঠের কর্মসূচিও নেই। অথচ গণঅধিকার পরিষদকে তারা বাদ দিয়েছেন। আন্দোলন করে নিবন্ধন আদায় করা হবে।
পরে প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে একটি পদযাত্রা বের করা হয়। পদযাত্রাটি পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাবিবুর রহমান, সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।