ডেস্ক রিপোর্ট
১৪ জুন ২০২৩, ১:১৫ পূর্বাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: আজ ১৩ জুন, ২০২৩ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বশেমুরবিপ্রবি সংসদের সদস্য ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নিঘাত রৌদ্র’র উপর হামলা চালায় একই বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান সুমন। নিঘাত রৌদ্রকে কয়েকবার ডাকার পরও ডাক না শুনতে পারার দরুণ সাড়া দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ডেকে নিয়ে রৌদ্র’র উপর দলবলসহ হামলে পড়েন ছাত্রলীগের এই নেতা। এই হামলা ২০ মিনিট স্থায়ী হয় বলে ভুক্তভোগী জানান। হামলাকারীদের মধ্যে ১৯-২০ সেশনের শাহাদাৎ ও ১৮-১৯ সেশনের অনিশ দাসকে তিনি চিহ্নিত করতে পেরেছেন।
উল্লেখ্য এই হামলায় নেতৃত্বদানকারী সুমনসহ ছাত্রলীগের একটি নির্দিষ্ট অংশের কতীপয় সন্ত্রাসী ক্যাম্পাসে ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের উপর বিভিন্ন সময় হামলা-নিপীড়ন চালিয়েছে। বারবার অভিযোগ দিলেও প্রশাসন তাতে কর্ণপাত করেনি। ভুক্তভোগী নিঘাত রৌদ্র ইতোমধ্যে প্রক্টরের কাছে এই ঘটনার বিচার চেয়ে লিখিত আবেদন জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট অতিসত্ত্বর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে। এই প্রসঙ্গে সভাপতি রাগীব নাইম ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “ছাত্রলীগ নামক প্রতিষ্ঠানটি সন্ত্রাস উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। দেশের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হল দখল ও গেস্টরুম নিপীড়নসহ তারা শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে ক্ষমতার অবাধ চর্চার মধ্যে দিয়ে একপ্রকার সন্ত্রাসী হিসেবে গড়ে তোলে। আর এই প্রক্রিয়ায় সরাসরি পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকা পালন করে রাষ্ট্রীয় তাবেদারীতে মশগুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। বশেমুরবিপ্রবি’র এই ঘটনা এবং সারাদেশে ছাত্রলীগের চলমান ত্রাসের রাজত্ব সংগঠনটির এই সিস্টেমেটিক সন্ত্রাস উৎপাদন প্রক্রিয়ারই প্রমাণ বহন করে।”
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন দীর্ঘদিন যাবত দেশজুড়ে ছাত্রলীগ – যুবলীগ – পুলিশ ও অন্যান্য আওয়ামী বাহিনীর সমন্বয়ে চলমান আওয়ামী সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। বশেমুরবিপ্রবি প্রশাসন এই ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে ছাত্র ইউনিয়ন শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলে নেতৃবৃন্দ জানান। পাশাপাশি দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান ব্যক্ত করছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।