ডেস্ক রিপোর্ট
৬ মে ২০২৩, ১২:২২ পূর্বাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: নেত্রকোনার প্রেমনগর ছালিপুরা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুক্তি বর্মনকে হত্যার দ্রুত বিচার ও হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
শুক্রবার (৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী শম্পা বসু। এতে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব কান্তি রায়, দপ্তর সম্পাদক অনিক কুমার দাস এবং সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম ঢাকা নগর শাখার সভাপতি সেলিনা ইয়াসমিন কনা, সাধারণ সম্পাদক রুখশানা আফরোজ আশা। সমাবেশ পরিচালনা করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শোভন রহমান।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘দেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আছে তা বোঝার কোনো উপায় নেই। একজন স্কুল শিক্ষার্থীকে দিনের আলোয় প্রকাশ্যে কুপিয়ে আসামি পালিয়ে যায় এবং সেই আসামিকে পুলিশ দ্রুত গ্রেপ্তার করতে পারে না, চব্বিশ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে।’
তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘এর আগেও দেখা গেছে ক্ষমতা ও অর্থের দাপটে অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। যখন অপরাধ করেও অপরাধীর শাস্তি হয় না তখন অপরাধ সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে।’
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত আসামি কাউছারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। সেই সঙ্গে দেশে নারীর অবাধ চলাচল এবং জীবনের নিরাপত্তায় যে প্রতিবন্ধকতা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে তার বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
তারা আরো বলেন, ‘সামাজিক অবক্ষয় আজ কোন জায়গায় পৌঁছেছে যে, একজন বখাটে দিনের পর দিন একজন ছাত্রীকে উত্যক্ত করে চলেছে। মেয়েটি ভয়ে ভয়ে স্কুলে যায়, আর বখাটে সন্ত্রাস করে বেড়ায়। ফলে এমন বর্বর হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার করা যেমন জরুরি, তার সঙ্গে সঙ্গে ইভ টিজিং, মাদক, নারী নির্যাতন ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলনও জরুরি।’
গত ২ মে (মঙ্গলবার) সহপাঠীদের সঙ্গে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে মুক্তি বর্মনকে সহপাঠীদের সামনেই প্রকাশ্যে কাউছার নামে এক বখাটে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। কাউছার প্রায়ই মুক্তি বর্মনকে উত্যক্ত করত। সর্বশেষ প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এবং কাউছারের পরিবারকে অভিযোগ করায়, কাউছার নির্মমভাবে প্রকাশ্যে মুক্তি বর্মনকে কুপিয়ে হত্যা করে।