ডেস্ক রিপোর্ট
২২ মার্চ ২০২৩, ৮:২০ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক: শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন, দখলদারিত্বের প্রতিবাদে ৪ দফা দাবিতে আজ বুধবার (২২ মার্চ ২০২৩) দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ন চত্বর প্রদক্ষিণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে দুপুর ১২ টায় সমাবেশ করেন নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ। কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শোভন রহমান এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাজীব কান্তি রায়, ঢাকা নগর শাখার সভাপতি অনিক কুমার দাস।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ছাত্র রাজনীতি বরাবরের মতোই শাসক শ্রেণীর চক্রান্তের শিকার। সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ সারাদেশের শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন, দখলদারিত্বের রাজত্ব কায়েম করেছে। সমসাময়িক জাতীয় পত্রপত্রিকা গুলোতেও প্রতিদিনই ছাত্রলীগের দুষ্কর্মের চিত্র দেখা যায়। একথা আজ স্পষ্ট যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নাৎসি বাহিনীর মতো কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প গড়ে তুলেছে ছাত্রলীগ। অপ্রকাশিত চিত্র গুলো সামনে না আসলেও তার ভয়াবহতা সম্পর্কে যে কেউ অনুমান করতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বরাবরের মতোই তার দায় এড়িয়ে গেছে এবং সন্ত্রাসীদেরকে মদদ দিয়েছে। একদিকে ছাত্রলীগ র্যাগিং বিরোধী র্যালি করছে, এর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করছে আর ঠিক সেদিনই রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে, বদরুন্নেসা কলেজে ছাত্রলীগের হাতে ছাত্র নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলপরী খাতুনের ঘটনার ভয়াবহতা আদিম যুগের বর্বরতাকেও হার মানায়। এরই মাঝে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতির একটি চিত্র পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে যেখানে তিনি শুয়ে আছেন এবং দুজন ছাত্রলীগ নেতা তার পা টিপে দিচ্ছেন। এ যেন সামন্তীয় যুগে ফিরে গেছি আমরা! এই সভাপতির বিরুদ্ধেই একজন নারী শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে বিবস্ত্র করে সারারাত নির্যাতনের অভিযোগে আন্দোলন হয়েছিল। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কীভাবে তাকে আগলে রেখে বাচিয়েছিল আমরা দেখেছিলাম। প্রশাসনের মদদেই তারা এরকম বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
নেতৃবৃন্দ সকল গণতান্ত্রিক ও বিবেকবান শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদেরকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস, অত্যাচার নিপীড়নের বিরুদ্ধে এবং অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খানসহ সকল গণতান্ত্রিক আওয়াজের উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
৪ দফা দাবিগুলো হল:
→ শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস-নির্যাতন- দখলদারিত্ব প্রতিরোধ কর
→ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বায়ত্তশাসন ও শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত কর
→ গেস্টরুম-গণরুম ও র্যাগিং এর নামে ছাত্র নির্যাতন বন্ধ কর
→ খাতা-কলমসহ সকল শিক্ষা উপকরণের দাম কমাও