ডেস্ক রিপোর্ট
১৬ ডিসেম্বর ২০২২, ৮:২৬ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক:: মহান বিজয় দিবসে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেছে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলা বিএনপি। তবে দলীয় পতাকা স্বাভাবিক নিয়মে উত্তোলন করলেও জাতীয় পতাকা রাখা হয়েছে অর্ধনমিত।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) উপজেলার জামতৈল রেলস্টেশন এলাকার উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
বিজয়ের দিন এমন কাণ্ডে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নিন্দা জানাচ্ছেন সচেতন মহল। একইসঙ্গে স্বাধীনতার ৫১ বছরে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দলের এমন কাণ্ড রাষ্ট্রকে হেয়-প্রতিপন্ন করা ও কাণ্ডজ্ঞানহীন বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকেই। অনেকে আবার উপজেলার বিএনপি নেতাকর্মীদের শাস্তিও দাবি করেছেন।
জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে কামারখন্দ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গাজী আমিনুল ইসলাম বলেন, বিএনপি এভাবে পতাকা উত্তোলন করে বাংলাদেশকে অবমাননা করেছে। এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলেও তিনি জানান।
তবে বিএনপি নেতারা এমন অভিযোগের বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে জানান, নেতারা স্বাভাবিক নিয়মেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। কিন্তু নাইলনের সুতোয় পতাকা বাঁধা হয়েছিল। তাই ধীরে ধীরে সেটি লুজ হয়ে পতাকা নেমে গেছে।
কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাতে রাব্বী উথান বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে আমরা কার্যালয়ে গিয়ে পতাকা নির্ধারিত নিয়মে উত্তোলন করে দিয়ে এসেছি। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটি করেননি। এটা অনিচ্ছাকৃত ভুল।
এ ব্যাপারে কামারখন্দ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. মেরিনা সুলতানা বলেন, এ ধরনের কাজ আইনত অপরাধ। কোনো দল বা সংগঠন এমন কাজ করতে পারে না। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না বলেন, জাতীয় পতাকা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদার প্রতীক। জাতীয় পতাকার মর্যাদা সমুন্নত রাখা প্রতিটি নাগরিকেরই কর্তব্য। স্বাধীনতাবিরোধীদের দোসর বিএনপি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করে না বলেই জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করেছে। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এদিকে এমন ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি করেন তারা।