ডেস্ক রিপোর্ট
২০ অক্টোবর ২০২২, ৬:০৭ অপরাহ্ণ
অধিকার ডেস্ক:: ঢাকার গুলশানে কলেজ ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলা থেকে সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৮জন আসামীর অব্যাহতির ঘটনা পুলিশী তদন্তকে প্রশ্নবিদ্ধ ও নারী নির্যাতনকে উৎসাহিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ‘ধর্ষণ ও হত্যা’ মামলার অভিযোগ থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর ও তার পরিবারের সদস্যদের অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এই ঘটনা পুলিশের তদন্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, অর্থ ও ক্ষমতা থাকলে যেকোন অন্যায় করেও পার পাওয়া যায় তা আবারও প্রতিষ্ঠিত করছে ।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর ২০২২) সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রকৌশলী শম্পা বসু এবং সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট দিলরুবা নূরী এক বিবৃতি এই মন্তব্য করেন।
পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুয়ায়ী, গত মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই প্রতিবেদনে বলা হয়, তদন্তে হত্যা বা ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা খুঁজে না পাওয়ায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডিসহ ৮ জন আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, মুনিয়ার বিষয়ে সায়েম সোবহান আনভীরের সম্পৃক্ততার কথা বিভিন্ন সময়ে মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। অডিও ক্লিপ ভাইরাল, মুনিয়ার ডায়রি, মুনিয়াকে ফ্লাট ভাড়া করে রাখা বা আনুষঙ্গিক অনেক বিষয় আছে যা সায়েম সোবহান আনভীরকে অভিযুক্ত করার জন্য যথেষ্ট। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে এত ধরনের সম্পৃক্ততা থাকার পরও সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৮ জনকে তদন্ত প্রতিবেদন থেকেই অব্যাহতি দিয়ে দেয়া খুবই দুঃখজনক।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ক্ষমতা এবং টাকার জোড়ে আইনকে নিজের মত ব্যবহার করার ঘটনা আমরা অনেক দেখেছি। সায়েম সোবহান আনভীরের ক্ষেত্রে সেটাই আবার পরিলক্ষিত হল। উচ্চ মাধ্যমিকে পড়া একজন ছাত্রীকে বা যেকোন নারীকে নিজের ভোগবিলাসের প্রয়োজনে ব্যবহার করা এবং প্রয়োজন শেষে বা পরিস্থিতির কারণে তাকে সরিয়ে ফেলার নজির স্থাপন হল। অর্থ ও ক্ষমতার জোড়ে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার মত গুরুতর ঘটনা থেকেও নিস্তার পাওয়া যায় এটা আবার প্রতিষ্ঠিত হল। যেমনটা তনু হত্যার ক্ষেত্রে, সাংবাদিক সাগর রুনী হত্যার ক্ষেত্রে, আপন জুয়েলার্স এর মালিকের ছেলের অপরাধের ক্ষেত্রে পূর্বেই দেখা গিয়েছে।।’
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে মুনিয়া হত্যার পুনঃতদন্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।